1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্ব ইজতেমা থেকে শান্তি, সমৃদ্ধি আর ঐক্যের ডাক

২৪ জানুয়ারি ২০১০

ঢাকার অদূরে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমা থেকে বিশ্বব্যাপী শান্তি, সমৃদ্ধি আর ঐক্যের ডাক দেয়া হয়েছে৷ প্রায় ৩০ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমানের উপস্থিতিতে আখেরি মোনাজাতের নেতৃত্ব দেন ভারতের মওলানা জুবায়রুল হাসান৷

https://p.dw.com/p/Lfie
ফাইল ফটোছবি: AP

টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত এই বিশ্ব ইজতেমাকে বলা হয় বিশ্বের মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ৷ ১৯৭৬ সাল থেকে এই ধর্মীয় সমাবেশের আয়োজন করে আসছে আন্তর্জাতিক তাবলিগ জামায়াত৷ এবারে সমাবেশে বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৩০ লাখেরও বেশ ধর্মপ্রাণ মুসলমান যোগ দেয় বলে জানিয়েছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ৷

রবিবার দুপুরে আখেরি মোনাজাতে মাওলানা জুবায়রুল মুসলমান ও সারা বিশ্বের শান্তি ও উন্নতির জন্য দোয়া করেন৷ সবার দুঃখ-কষ্ট দূর করে দিয়ে ইসলামের সঠিকপথে ফিরে আসার হেদায়েত করতে তিনি আল্লাহর কাছে কামনা করেন৷

প্রায় ২৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের আখেরি মোনাজাতোর সময় অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন৷

স্বভাবতই, এই বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতির কারণে রাজধানী ঢাকা এবং আশেপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়৷ ইজতেমায় আগতদের অবস্থান তুরাগ নদীর তীর থেকে আশেপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে৷ অনেকে বাড়িঘরের ছাদে বসেও মোনাজাতে অংশ নেন৷

বরাবরের মতোই এবারো বাংলাদেশের গন্যমান্য ব্যক্তিরা তথা দেশটির রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ও ইসলামী রাষ্ট্রের কুটনীতিকেরা আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন৷

বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল চোখে পড়ার মতো৷ তিন দিনের এই ধর্মীয় সমাবেশ রবিবার আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন