1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিমানবন্দরে জ্বালানি সাশ্রয়ের সহজ উপায়

১৯ জুন ২০১৮

পুরানো আমলের বিশাল বিমানবন্দরগুলিতে জ্বালানির বিপুল চাহিদা এক বড় সমস্যা৷ এক অভিনব প্রকল্পের মাধ্যমে রোমের প্রধান বিমানবন্দরে সহজ ও সস্তার এক সমাধানসূত্র কার্যকর করা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/2zmdw
Deutschland Landung Flughafen Frankfurt am Main
ছবি: picture-alliance/dpa/L. Faerberg

বিমানবন্দরে জ্বালানি বাঁচানোর উপায়

রোম শহরের কাছে লিওনার্দো দা ভিঞ্চি ইটালির ব্যস্ততম ও ইউরোপের ষষ্ঠ ব্যস্ততম বিমানবন্দর৷ গত শতাব্দীর ষাটের দশকে চালু হবার পর বর্তমানে বছরে প্রায় ৪ কোটি যাত্রী এই বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াত করেন৷ সেখানে জ্বালানির চাহিদা প্রায় ৫০,০০০ পরিবারের কোনো শহরের মতো৷ বিমানবন্দরের প্রধান স্টেফানো ডনারুমা বলেন,‘‘বিমানবন্দেরর শুধু ভিতরের অংশের আয়তনই প্রায় ৩ লক্ষ বর্গ মিটার৷ আমরা প্রায় ১ লক্ষ ডিভাইস চালাই৷ শুধু বাতাসের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের জন্যই অনেক জ্বালানির প্রয়োজন হয়৷''

পুরানো বিমানবন্দরগুলির ভেন্টিলেশন সিস্টেম মোটেই তেমন কার্যকর নয়৷ যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রেখে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় জ্বালানি সাশ্রয় করা বড় চ্যালেঞ্জ৷ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং গবেষক আন্দ্রেয়া কস্টা বলেন, ‘‘এমন ভেন্টিলেশন সিস্টেম গোটা বিমানবন্দরের প্রায় ৫০ শতাংশ জ্বালানি শুষে নেয়৷ এই একটি পরিষেবার উন্নতি করলেই সার্বিক চাহিদা অনেকটা কমানো সম্ভব৷''

এক ইউরোপীয় প্রকল্পের আওতায় সেন্সর প্রযুক্তি ও ‘বুদ্ধিমান' সফটওয়্যারের সমন্বয়ের মাধ্যমে পুরানো শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করে তোলার চেষ্টা চলছে৷ গবেষক হিসেবে নিকোলা রেয়ো বলেন, ‘‘আমরা ফিউমিচিনো বিমানবন্দরের টার্মিনাল ওয়ানের ঠিক নীচে রয়েছি৷ কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ এই সব পাইপের মাধ্যমে টার্মিনাল ভবনে বাতাস পাম্প করা হয়৷ সেইসঙ্গে এক এয়ার হ্যান্ডলিং ইউনিট রয়েছে, যা অনেক থার্মাল ও বৈদ্যুতিক জ্বালানি ব্যবহার করে৷''

মাটির নীচে ভেন্টিলেশন নেটওয়ার্ক জুড়ে গবেষকরা এমন সেন্সর বসিয়েছেন, যেগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে জ্বালানি অপচয়ের সমস্যার উৎস শনাক্ত করতে পারে – যেমন একই সঙ্গে শীতল ও গরম করার প্রক্রিয়া বা যান্ত্রিক ত্রুটি৷ সেনসুস কোম্পানির প্রধান ফ্রানচেস্কো কারা বলেন, ‘‘সেন্সরগুলি থেকে সব তথ্য একটি ইউনিটে পাঠানোর পর সেগুলি একটি কনট্রোলারের মাধ্যমে এক কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারে প্রেরণ করা হয়৷''

‘বুদ্ধিমান' সফটওয়্যার সব সময়ে সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে চলে৷ কোনো সমস্যা শনাক্ত করলেই সফটওয়্যার অবিলম্বে সেই তথ্য রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের কাছে পাঠিয়ে দেয়, যাতে সঙ্গে সঙ্গে জ্বালানির অপচয় বন্ধ করা যায়৷ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে মাইক ব্রোগান বলেন, ‘‘আমরা এখানে ত্রুটি দেখতে পাচ্ছি৷ সফটওয়্যার জানাচ্ছে, যে কিছু জায়গায় তাপমাত্রা সীমার বাইরে রয়েছে৷ একটি এয়ার হ্যান্ডলিং ইউনিটের একটি পাম্পে সমস্যা রয়েছে৷ সেই নির্দিষ্ট ত্রুটির উল্লেখ করে জ্বালানি ম্যানেজারের কাছে একটি ইমেলও যাচ্ছে৷ ফলে তিনি সেই ত্রুটি দূর করতে দ্রুত ও দক্ষভাবে পদক্ষেপ নিতে পারেন৷''

ধারাবাহিক গবেষণা ও উন্নতির মাধ্যমে বিমানবন্দরগুলিতে এক ধরনের ‘স্মার্ট হোম' সিস্টেম সৃষ্টি হবে৷ সহজ ও সস্তার এমন সমাধানসূত্র জ্বালানি সাশ্রয় করবে ও কার্বন নির্গমনের মাত্রা কমাবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য