এমএইচ১৭ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী রাশিয়া?
২৫ মে ২০১৮একদিন আগে একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত দল তাদের প্রতিবেদনে ঐ দুর্ঘটনার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করে৷ অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, মালয়েশিয়া, নেদারল্যান্ডস ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা ঐ তদন্ত দলে ছিলেন৷ প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বুক’ নামে যে মিসাইল ব্যবহার করে দুর্ঘটনাটি ঘটানো হয়, সেটি রাশিয়ার একটি সামরিক ঘাঁটি থেকে ছোঁড়া হয়েছে৷ আর যে বাহনগুলোতে করে মিসাইলটি পরিবহণ করা হয়েছে, সেগুলোও রুশ সামরিক বাহিনীর বলে জানায় ঐ তদন্ত দল৷
বিমানটিতে থাকা ২৯৮ জন যাত্রীর সবাই প্রাণ হারিয়েছিলেন৷ ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই বিমানটি আমস্টারডাম থেকে কুয়ালালামপুর যাচ্ছিল৷ অধিকাংশ যাত্রী ছিলেন নেদারল্যান্ডসের৷ অস্ট্রেলিয়ারও বেশ কয়েকজন যাত্রী ছিলেন ঐ ফ্লাইটে৷
তদন্ত দলের প্রতিবেদন উল্লেখ করে ডাচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টেফ ব্লক জানান, নেদারল্যান্ডস ও অস্ট্রেলিয়া রাশিয়ার জড়িত থাকার বিষয়টি বিশ্বাস করছে৷ এক বিবৃতিতে ডাচ সরকার জানিয়েছে, তদন্তের ‘পরবর্তী’ ধাপ হতে পারে বিষয়টি আন্তর্জাতিক আদালত বা কোনো সংস্থায় তোলা৷
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন৷ তদন্তের ফলাফল ‘আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি' বলে মনে করছেন তিনি৷
তবে ক্রেমলিন এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, রাশিয়াকে যেহেতু তদন্তের অংশ হতে দেয়া হয়নি, তাই এই প্রতিবেদন বিশ্বাস করা যায়না৷ রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, দুর্ঘটনায় ব্যবহৃত মিসাইলটি যে রাশিয়ার ছিল সে ব্যাপারে কোনো ‘তথ্যপ্রমাণ’ দেয়নি নেদারল্যান্ডস৷ দেশটির সরকার তাদের ‘নিজেদের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের’ জন্য এমন করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি৷
দুর্ঘটনা বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে রাশিয়ার দেয়া প্রমাণগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখতে ডাচ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান লাভরভ৷
এদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর বলে এসেছে যে, মিসাইলটি ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর ছিল৷
ন্যাটো মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনব্যার্গ ‘দায় স্বীকার’ করতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷
জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোঘেরিনি ও যুক্তরাজ্যও আন্তর্জাতিক তদন্ত দলের প্রতিবেদনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে৷
জেডএইচ/জেডএ (এপি, এএফপি, রয়টার্স)
এমএইচ১৭ দুর্ঘটনার চারদিন পর প্রকাশিত ছবিঘরটি দেখুন...