1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিন লাদেনের গোপন আস্তানার ব্যাপারে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার

৯ মে ২০১১

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আজ সংসদে সরকারিভাবে বক্তব্য রাখলেন৷ তিনি গোপন আস্তানায় আল কায়েদা নেতার বহু বছর লুকিয়ে থাকার ব্যাপারে পাকিস্তানের যোগসাজসের বা পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের অযোগ্যতার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন৷

https://p.dw.com/p/11CXh
ছবি: picture-alliance/dpa

গিলানি অবশ্য বলেছেন যে বিন লাদেনকে হত্যা যথার্থ ন্যায়বিচারেরই পরিচায়ক৷ তিনি জোর দিয়ে বলেন, সামরিক ও গোয়েন্দা সার্ভিসের ওপর পাকিস্তানের সমূহ আস্থা আছে৷ পার্লামেন্টে দেয়া এই বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী গিলানি বলেন, তাঁর দেশ সন্ত্রাসবাদ নিশ্চিহ্ন করার দৃঢ় লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ এবং দেশের মাটিকে জঙ্গিবাদের কাজে ব্যবহৃত হতে না দেয়ার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ৷ গিলানি বলেছেন, গ্যারিসন শহর অ্যাবেটাবাদে বিন লাদেনের দীর্ঘদিনের উপস্থিতি কেন টের পাওয়া যায়নি, তার তদন্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷ তিনি অবশ্য এ কথাও বলেছেন যে, মার্কিন সিল বাহিনীর মত একক মিশন গুরুতর ফল বয়ে আনার ঝুঁকি রয়েছে৷ তবে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ককে পাকিস্তান যে খুবই গুরুত্ব দেয় সেটা তিনি জানাতে ভোলেননি৷

পাকিস্তানের মাটিতে মার্কিন বিশেষ কম্যান্ডো দলের পরিকল্পিত হানায় সন্ত্রাসী সংগঠন আল কায়েদার প্রধান ওসামা বিন লাদেন নিহত হবার পর ইসলামাবাদ সরকার বেশ চাপের মুখে পড়েছে৷ চাপটা এসেছে দু দিক থেকে৷ একদিকে ওয়াশিংটন আর অন্যদিকে বিরোধী দলগুলো এবং দেশের জনগণ৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই তো রোববারই এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে খোলাখুলি বললেন: ‘‘আমাদের ধারণা পাকিস্তানের ভিতরেই বিন লাদেনের পক্ষে মদদদার নেটওয়ার্ক নিশ্চয়ই ছিল৷ তবে সেই নেটওয়ার্ক কে বা কারা তা আমাদের জানা নেই৷'' পাকিস্তানকে অবশ্যই ব্যাপারটা ভাল করে খতিয়ে দেখতে হবে৷

অন্যদিকে বিরোধী দলগুলো তো ছেড়ে দেবার পাত্র নয়৷ ইসলামাবাদের বাইরে সামরিক স্থাপনার অদূরে গোপন আস্তানায় ঢুকে মার্কিন নৌবাহিনীর সিল কম্যান্ডো দল বিন লাদেনকে হত্যা করে তার মৃতদেহ নিয়ে ফিরে গেল আর পাকিস্তানের কাকপক্ষী কেউ জানতে পারল না, এটাকে জাতির এক বিরাট ব্যর্থতা বলে দেখছে বিরোধী দলগুলো৷ সাধারণ মানুষও ক্ষুব্ধ৷ এই ব্যর্থতাকে সবিশেষ লজ্জার বলে মনে করছে তারা৷

ওদিকে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক একটি আরব টেলিভিশন চ্যানেলকে জানিয়েছেন, মার্কিন কম্যান্ডো দলের বিন লাদেন নিধন মিশন শুরু হবার ১৫ মিনিট পরেই নাকি তিনি সেখবর জানতে পারেন৷ তবে এই মিশনের লক্ষ্য কে বা কারা সেটা তাঁর জানা ছিলনা৷ এই তথ্য তিনি কেন এতদিন পরে দিলেন সেটা অবশ্য তিনি জানাননি৷

প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ