বিদায় মাইকেল: দ্য গ্রেটেস্ট এন্টারটেইনার
৮ জুলাই ২০০৯পপ সম্রাট মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যু হয়েছে গত ২৫শে জুন৷ কিন্তু এখনও তাঁর শরীর রয়ে গেছে এই পৃথিবীতে৷ ভক্তদের দাবি ছিলো প্রিয় মাইকেলকে শেষ বিদায় জানানোর একটি সুযোগ দেয়া হোক৷ তাই লস এঞ্জেলেসের স্ট্যাপলস সেন্টারে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হলো স্মরণ অনুষ্ঠান যেখানে কফিনে শুয়ে ছিলেন মাইকেল জ্যাকসন৷
জ্যাকসনের স্মরণ অনুষ্ঠানে সরাসরি উপস্থিত হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেছেন মাত্র ১৮ হাজার মানুষ৷ আর টেলিভিশন ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে এটি প্রত্যক্ষ করেছে গোটা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ৷ সঙ্গীতের জগতে মাইকেল জ্যাকসনের অবদান কতটুকু ছিলো তা নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই, কিন্তু তাঁকে কি বলা হবে পপ সম্রাট নাকি আরো কিছু? যাঁর হাত ধরে মাইকেল জ্যাকসনের শুরু সেই মোটাউন রেকর্ডস এর প্রতিষ্ঠাতা বেরি গর্ডি বললেন, 'মাইকেল জ্যাকসন হচ্ছে পৃথিবীর সর্বকালের সেরা বিনোদনদাতা৷'
জ্যাকসন যখন গান শুরু করেন তখন বর্ণবাদের জাঁতায় পিষ্ট হচ্ছিলো গোটা মার্কিন সমাজ৷ মাইকেল জ্যাকসনই প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ গায়ক যিনি এমটিভিতে শো করেন৷ জীবনের কোন বাধাই তাঁকে আটকে রাখতে পারেনি৷ বাস্কেটবল জগতের সর্বকালের সেরা তারকা হিসেবে পরিচিত ম্যাজিক জনসন বলেন, 'আমি ধন্যবাদ দিতে চাই কারণ মাইকেল আফ্রিকান আমেরিকানদের জন্য অনেক সুযোগের দরজা খুলে দিয়েছেন৷ তিনি আমাদের সকলের জন্য সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন৷
ব্যক্তিজীবনে একাধিক স্ক্যান্ডালের মুখোমুখি হলেও মাইকেল সবসময় বিশ্বকে দেখেছেন তাঁর হৃদয় দিয়ে৷ গান লিখে গেছেন সকলকে ঐক্যবদ্ধ করতে, পৃথিবীকে দুর্যোগের হাত থেকে বাঁচাতে৷
শুধু গান লিখে নয়, নিজের অর্জিত অর্থও মাইকেল জ্যাকসন দান করেছেন মানুষের কল্যাণে৷ কেবল ব্যক্তিগত ভাবে জ্যাকসন দান করেছেন ৫০০ মিলিয়ন ডলার৷ তিনি মারা না গেলে হয়তো আমরা এটা জানতে পারতাম না৷
মাইকেলকে স্মরণ করতে প্রখ্যাত গায়করা একের পর এক গান গেয়েছেন স্মরণ অনুষ্ঠানে৷ গেয়েছেন তাঁর জয়গান৷ তবে মাইকেলের মেয়ে প্যারিসের অশ্রুই যেন শেষ পর্যন্ত ছুঁয়ে গেছে সবাইকে৷ কান্না বিজড়িত কন্ঠে প্যারিস শুধু এটুকু বলেছে, 'আমার বাবা ছিলো সবচেয়ে সেরা, আমি শুধু এটুকু বলতে চাই, আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি৷'
বিদায় মাইকেল জ্যাকসন, আমরাও তোমাকে ভালোবাসি৷
প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই