1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিকল্প জ্বালানি হিসেবে ব্লু ক্রুড

১৯ ডিসেম্বর ২০১৭

জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানির বিকল্পের খোঁজে যথেষ্ট অগ্রগতি ঘটেছে, যদিও বড় আকারে তার প্রয়োগ এখনো সম্ভব হচ্ছে না৷ জার্মান বিজ্ঞানীরা এবার ক্ষতিকারক কার্বন ডাই-অক্সাইডকে পরিবেশবান্ধব তরল পদার্থে পরিণত করছেন৷

https://p.dw.com/p/2pYj5
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Charisius

ইস্পাত কারখানাগুলি বিশাল মাত্রার কার্বন ডায়ক্সাইড নির্গমন করে৷ কিন্তু নতুন এক প্রযুক্তির মাধ্যমে দূষণের এই উৎসকে পরিষ্কার জ্বালানিতে পরিণত করার উদ্যোগ চলছে৷

 জার্মানির ড্রেসডেন শহরে সানফায়ার কোম্পানিএই ক্ষতিকর গ্যাসকে ‘ব্লু ক্রুড' নামের পরিবেশবান্ধব তরল পদার্থে পরিণত করার পথ খুঁজে পেয়েছে৷ এই পদার্থ নিজ গুণেই জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানির বিকল্প হয়ে উঠেছে৷ তবে আরও গবেষণার মাধ্যমে ই-ডিজেল বা বিমানের এভিয়েশন ফুয়েলও উৎপাদন করা যেতে পারে৷

ই-ডিজেল এক কৃত্রিম জ্বালানি যার প্রায় কোনো নির্গমনই ঘটে না৷ যুগান্তকারী এই আবিষ্কারকে ঘিরে অবশ্য কিছু উদ্বেগও রয়েছে৷ সানফায়ার কোম্পানির নিলস আলডাগ বলেন, ‘‘কিছু মহল মনে করে, আমাদের এই জ্বালানি অনুমোদন পেলে ব্যাটারিভিত্তিক ই-মোবিলিটির ক্ষতি হবে৷ আমাদের বিশ্বাস, দু'টি প্রযুক্তিই পাশাপাশি ব্যবহার করা যেতে পারে৷ কিন্তু যতদিন কিছু লোক মনে করবে যে, একটি প্রযুক্তি অন্যটিকে ব্যাহত করছে, ততদিন এই প্রযুক্তিকে সফল করে তোলার কাজ অত্যন্ত কঠিন হবে৷'' 

ইলেকট্রোলিসিস নামের এক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পুনর্ব্যবহারযোগ্য উৎস থেকে বাড়তি বিদ্যুতকে  কৃত্রিম জ্বালানিতে পরিণত করা সম্ভব৷ই-ডিজেলের মতো সিন্থেটিক ফুয়েলের জন্য কোনো নতুন অবকাঠামোর প্রয়োজন নেই৷ ট্যাংক, পেট্রোল পাম্প ও সাধারণ ইঞ্জিনের মধ্যেও এটি ব্যবহার করা সম্ভব৷

আলবেয়ার্ট আলবার্স জার্মানির কার্লসরুয়ে ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে ভবিষ্যতের পরিবহণ কাঠামো নিয়ে গবেষণা করছেন৷ তাঁর মতে, রাজনীতিকরা অতি দ্রুত ইলেকট্রিক মোবিলিটির পক্ষে অবস্থান নিয়ে সাধারণ গাড়ির ইঞ্জিন বাতিল করার কথা বলেন৷ তিনি কোনো ধরনের প্রযুক্তি নস্যাৎ না করে এ বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা চান৷ তাঁর মতে, হাইড্রোজেন-ভিত্তিক ব্লু ক্রুড-এর যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে৷ আলবার্স বলেন, ‘‘হাইড্রোজেন-ভিত্তিক টেকসই অর্থনীতির জন্য চাই দীর্ঘ ও কৌশলগত নীতি৷ আমার মতে, এটাই আসল সমাধানসূত্র৷ নানা ধরনের হাইড্রোজেনকে জ্বালানি ও ইঞ্জিনের জন্য রূপান্তরিত করে পরিবহণ সম্ভব করে তুলতে হবে৷''

ড্রেসডেন শহরে এই কর্মীরা নরওয়ের মতো দেশে কোনো এক দিন বড় আকারে ই-ডিজেল উৎপাদনের স্বপ্ন দেখছেন৷ এমন বড় সাফল্য সম্ভব হলে তাঁদের ইলেকট্রোলিসিস প্রক্রিয়া বাস্তব জগতে আনা সম্ভব হবে৷

কার্ল  হারেনব্রক/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য