বিএনপির ডাকা হরতাল কার্যত পুলিশের নিয়ন্ত্রণে
৩০ নভেম্বর ২০১০হরতালে বিএনপির নেতা-কর্মীরা রাজধানীতে পুলিশের কড়া টহলের মুখে তেমন দাঁড়াতেই পারেনি৷ আর নয়াপল্টনের বিএপির কার্যালয় পুলিশ অবরুদ্ধ করে রাখে৷ এর মধ্যেই পুলিশের সঙ্গে পিকেটার ও বিএনপি পন্থী আইনজীবীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে৷ পুলিশ সংসদ সদস্য নিলুফার চৌধুরীসহ শতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করে৷
হরতালে নয়াপল্টন , মহাখালী, পুরনো ঢাকা ও জজকোর্ট এলাকায় হরতাল সমর্থকদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যায় পুলিশ৷ বিএনপি মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেন নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকতে না পেরে রাস্তায়ই কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে৷ তিনি বলেন, পুলিশ তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে দেয়নি৷ নেতা-কর্মীরা কোথাও দাঁড়াতে গেলেই পুলিশের অ্যাকশনের মুখে পড়েছে৷ তার দাবি, ঢাকাসহ সারা দেশে বিএনপির একহাজার নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে৷ এত কিছুর পরও সাধারণ মানুষ স্বত:স্ফূর্ত ভাবে হরতাল পালন করেছে৷
পুলিশ বলেছে, তারা আইন-শৃংখলা রক্ষায় যা করণীয় তাই করেছে৷ জনগণের জান-মাল রক্ষা তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব৷
ঢাকায় হরতাল বিরোধী মিছিল ছিল চোখে পড়ার মত৷ চট্টগ্রাম মহানগরী মূলত শাসক দল আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণেই ছিল৷ হরতাল সমর্থকদের তেমন দেখা যায়নি৷ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু দাবি করেছেন, সাধারন মানুষ এই হরতাল প্রত্যাখ্যান করছে৷ পুলিশ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে কোন অ্যাকশনে যায়নি৷ যারা আইন-শৃংখলা ভঙ্গ করেছে বা ভঙ্গ করার প্রবণতা দেখিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ৷
তবে হরতালে রাজধানীতে যানবাহন চলাচল ছিল বেশ কম৷ দূরপল্লার বাস চলেনি৷ খোলেনি দোকান পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান৷ যা মানুষের ভোগান্তি বাড়িয়ে দেয়৷
এবার তৈরি পোশাক শিল্প ছিল হরতালের আওতামুক্ত৷ তাই সেখানে কাজ হয়েছে পুরোদমে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক