1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বালিতে চলছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্মেলন

রিয়াজুল ইসলাম২৩ জুন ২০০৮

বিশ্বব্যাপী বেড়ে চলা ক্ষতিকারক বর্জ্য মানব স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাড়াচ্ছে৷ তাই পরিবেশ রক্ষায় এসব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ার বালি শহরে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ১৭০ টি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক সম্মেলন৷

https://p.dw.com/p/EPZl
বালিতে চলছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্মেলনছবি: DW / Kateri Jochum

পাঁচদিন ব্যাপী এ সম্মেলনে দেশগুলোর মধ্যে ক্ষতিকারক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হবে৷

ইন্দোনেশিয়ার পরিবেশ মন্ত্রী রাখমাট উইটোয়েলার এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন৷ সম্মেলনের আয়োজকরা জানিয়েছেন, ১৭০টি দেশের প্রতিনিধিদের আলোচনায় মানুষের স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার ওপর বিভিন্ন ক্ষতিকারক বর্জ্য কিরকম প্রভাব ফেলে সে বিষয়টি প্রাধান্য পাবে৷

এ ব্যাপারে ইন্দোনেশিয়ার পরিবেশ মন্ত্রী রাখমাট উইটোয়েলার বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় একদেশ থেকে অন্য দেশে বিভিন্ন ক্ষতিকারক বর্জ্য চলে আসে যা মানুষের শরীরকে মারাত্মক ঝুকির মধ্যে ফেলে দেয়৷ দক্ষ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও টেকসই উন্নয়নের মধ্যে সু সমন্নয়ের বিষয়টিই পরিবেশ রক্ষায় বেশী গুরুত্বপুর্ণ৷ সাগরগুলোতে যেভাবে অবৈধভাবে তেজস্ক্রিয় রাসায়নিক পদার্থ ফেলা হচ্ছে তাতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রসীমার দেশ ইন্দোনেশিয়া খুব ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাচ্ছে৷

Indonesien Suche nach abgestürzte Adam Air Boeing 737-400 Maschine
বৃহত্তম সমুদ্রসীমার দেশ ইন্দোনেশিয়া খুব ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাচ্ছেছবি: AP

ইন্দোনেশিয়ান মন্ত্রী আরও বলেন, বিভিন্ন দেশের সমুদ্রসীমায় বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় বর্জ্য চলে এসে পরিবেশের প্রতি যে ঝুঁকি সৃষ্টি হয় সুইজারল্যান্ডের বাজেল সম্মেলনে তা কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো৷ সেখানে পরিবেশ রক্ষায় একটি কাঠামো গড়ে তোলার বিষয়টি ছিল বলেও মনে করিয়ে দেন তিনি৷

এবারের বালি সম্মেলনে বর্জ্য আমদানীর ওপর নিষেধাজ্ঞার বিভিন্ন আইনগত দিক আলোচিত হবে৷ এছাড়া বাজেল কনভেনশনের অবস্হান আরো শক্তিশালী করতে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানো এবং মানব স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর একটি বৈশ্বিক ফোরাম গড়ে তোলার বিষয়টিও স্থান পাবে বালিতে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে৷

পাচদিন ব্যাপী এ সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছেন এক হাজারেরও বেশী পরিবেশবাদী৷ তারা রাসায়নিক পদার্থ ছাড়াও মোবাইল ফোনের মত ইলেক্ট্রনিক বর্জ্যের বিষয়টি নিয়েও কি করা যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করবেন৷

উল্লেখ্য ১৯৮০ সালে বাজেল কনভেনশন স্বাক্ষরিত হয়েছিলো যা কার্যকর হয় ১২ বছর পর৷ এতে মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকারক সকল বর্জ্য পদার্থ আমদানি ও রপ্তানি নিষিদ্ধ করার ঘোষনা দেয়া হয়৷ তবে মাত্র ৬২ টি সদস্য দেশ এ কনভেনশন অনুমোদন করে৷