বার্লিনের ক্রিসমাস গার্ডেন
জার্মানি জুড়ে নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই শুরু হয়ে যায় ক্রিসমাস উদযাপনের নানা আয়োজন৷ বার্লিনের বোটানিকাল গার্ডেনেও এ উপলক্ষ্যে শুরু হয়েছে আলোর উৎসব৷ জানুয়ারির সাত তারিখ পর্যন্ত আনন্দ ছড়াবে এ ইন্দ্রজাল৷
রঙের দ্যুতি
বিকেল সাড়ে চারটা বাজলেই পুরো বোটানিকাল গার্ডেন ঝলমল করে ওঠে আলোয়৷ এখানকার মোট ৩০টি মোটিফ, দুই কিলোমিটার দীর্ঘ বৃত্তাকার পথ – সবই তখন ঝলমল করতে থাকে৷ দর্শণার্থীদের জন্য রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকছে এ বাগান৷
কাঁচের বরফ
প্রায় ১৫ লক্ষ লাইট এবং তিন হাজার লাইট চেইন ব্যবহার করা হয়েছে ক্রিসমাস গার্ডেনে৷ প্রায় ১৫ দিন সময় লেগেছে এসব লাইট সেট করতে৷ তার আগে আট মাসেরও বেশি সময় ধরে এর পরিকল্পনা করা হয়৷
গাছের নাচ
সুরের তালে তালে আলোর নাচ দেখা যাবে ক্রিসমাস গার্ডেনের গাছগুলোকে, যেন আপনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে এ নাচে অংশ নিতে৷ ১০০ ভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানির সাহায্যে জ্বলছে এখানকার সবগুলো লাইট৷
সান্তার স্লেজ
সান্তাক্লজের আলো ঝলমলে স্লেজেরও দেখা মিলবে এখানে৷ অদূরেই আছে তার রেইনডিয়ারও৷ চাইলে স্লেজে বসে থাকা সান্তার পাশে বসে আপনিও তুলতে নিতে পারেন একটি সেল্ফি৷
আলোকিত পুকুর
এখানে দেখা মিলবে পুকুরে ভাসমান অতিকায় আলোকিত বরফকণা৷ ডিসেম্বরের ১০ তারিখ পর্যন্ত আলোর বাগানের যে কোনো জায়গায় তোলা ছবি ‘ক্রিসমাস গার্ডেন’-এর ওয়েব অ্যাড্রেসে আপলোড করতে পারেন দর্শনার্থিরা৷ জানুয়ারিতে নির্বাচিত তিনটি ছবি বড় আকারে প্রদর্শিত হবে বার্লিনে৷
স্কেটিং রিংক
গ্রেট ট্রপিকাল হাউজের পাশেই তৈরি করা হয়েছে ৩০০ স্কয়ার মিটারের স্কেটিং রিংক৷ স্কেটিং করতে চাইলে এখানেই ভাড়া করা যাবে প্রয়োজনীয় জিনিস৷
ক্যাম্পফায়ার
ঘুরতে ঘুরতে ক্যাম্পফায়ারের উষ্ণতায় শেষ হতে পারে দিনটি৷ চাইলে মিলবে নানা ধরনের খাবারও৷
ঝলমলে অন্ধকার
ইংল্যান্ডের কিউ গার্ডেনের আদলে গত বছর থেকে জার্মানিতে শুরু হয় আলোর এ উৎসব৷ ক্রিসমাস গার্ডেনে ঢুকতে হলে লাগবে ১৭ ইউরো৷ কেউ কেউ এ অঙ্কটা বেশি মনে করলেও গতবছর এক লক্ষ ২০ হাজারেরও বেশি দর্শণার্থী যোগ দিয়েছিল এ উৎসবে৷