1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বার্লিনে পকেটমারদের বিচার শুরু

৬ নভেম্বর ২০১৬

বার্লিনে পকেটমারের দৌরাত্ম্য ভীষণ বেড়েছে৷ মাত্র এক বছরেই এসেছে ৪০ হাজার অভিযোগ৷ পকেটমার ধরতে শুরু হয়েছে ব্যাপক অভিযান৷ শুরু হয়েছে পকেটমারদের বিচার৷

https://p.dw.com/p/2S5xA
পকেটমার
ছবি: picture-alliance/dpa

জার্মানির রাজধানী যেন ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে পকেটমারদেরও রাজধানী৷ ২০১৫ সালে পুলিশের কাছে মোট ৪০ হাজার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা৷ এর আগে বার্লিনে কখনোই এত পকেটমার ছিল না৷ পরিসংখ্যান অন্তত তা-ই বলছে৷ ২০১৫ সালের আগের ১০ বছরে যেখানে মাত্র ১০ হাজার অভিযোগ পেয়েছিল পুলিশ, সেখানে মাত্র এক বছরেই এসেছে ৪০ হাজার অভিযোগ, ভাবা যায়!

তবে কেউ কেউ বলছেন, এখন পকেটমারদের উৎপাত বেড়েছে ঠিকই, তবে আগে উৎপাত এত কম হয়ত ছিল না৷ তাঁদের মতে, হালে পুলিশ ওয়েবসাইটে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা করায় ভুক্তভোগীরা অনেক বেশি হারে অভিযোগ করছেন৷

অবশ্য এটা ঠিক, বার্লিনে পকেটমারের উপদ্রব খুব বেড়েছে৷ বাড়ার জন্য দায়ী একটি আন্তর্জাতিক সংঘবদ্ধ পকেটমার চক্র৷ চক্রটির বড় একটি অংশই নাকি রোমানিয়ান৷

সম্প্রতি বার্লিনে ধরা পড়েছে দুই পকেটমার কিশোর৷ কিশোর দু'টি তাদের বাবা-মায়ের নির্দেশেই মানুষের পকেট কাটত৷ বাবা-মা রোমানিয়া থেকে ফোনে নির্দেশ দিতেন৷ সেই নির্দেশ অনুযায়ীই কাজ করতো ছেলে দুটো৷ কাজ করতে না চাইলে বাবা-মা ভয় দেখিয়ে তাদের বাধ্য করতেন৷ ধরা পড়ার পর এখন বার্লিনের আদালতে সেই ছেলে দু'টোর বিচার শুরু হয়েছে৷

এর আগে গত জুনে এক দম্পতি এবং তাদের এক সন্তানের বিচার হয় বার্লিনের আদালতে৷ অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কারাদণ্ড হয়েছে তাদের৷ জুলাই মাসে আরেক দম্পতিরও রাস্তা-ঘাটে সুকৌশলে মানুষের পকেট খালি করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কারাদণ্ড হয়৷

বার্লিনের পুলিশ সম্প্রতি শহরকে যতটা সম্ভব পকেটমারমুক্ত করার জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ নিয়েছে৷ রোমানিয়ার পুলিশের সঙ্গে মিলে দু'দেশে শুরু করা হয়েছে যুগপৎ অভিযান৷ অভিযানে ১০ জন গ্রেপ্তার এবং ৪৪ জন পকেটমারকে চিহ্নিত করা হয়েছে৷

বেন নাইট/এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য