1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বার্লিনে কট্টরপন্থিরা আগের চেয়ে বেশি ভোট পাবেন'

আসমা মিতা বার্লিন থেকে
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

আঙ্গেলা ম্যার্কেল চতুর্থবারের মতো জার্মানির চ্যান্সেলর হতে যাচ্ছেন বলে নির্বাচনের আগের নানা জরিপে দেখা যাচ্ছে৷ তবে বার্লিনে বরাবরের মতো বিরোধীদল এসপিডির সাথে বড় ব্যবধানে তার দল পিছিয়ে থাকবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা৷ 

https://p.dw.com/p/2kZJq
ছবি: DW/A. Islam

পাশাপাশি বার্লিনে বামপন্থি ও কট্টরপন্থিরা এবার আগের চেয়ে বেশি ভোট পাবেন বলেও ধারণা করছেন অনেকে৷ এতবছর ধরে ক্ষমতায় থাকার পরও ম্যার্কেল কেন এখনও এতটা জনপ্রিয় জানতে চাইলে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জার্মান ভোটার মোনাজ হক ডয়চে ভেলেকে সোজাসাপ্টা বললেন, ‘‘তাঁর মধ্যে কিছু ক্যারিশমাটিক ব্যাপার আছে৷ এদেশের অর্থনীতিকে সবল ও স্থিতিশীল রাখতে তিনি যে ভূমিকা রেখেছেন তা মনে করেই এবারও এদেশের মানুষ তাঁকে ভোট দেবে৷''

দীর্ঘদিন ধরে লেখালেখির সাথে জড়িত মোনাজের বিশ্লেষণ হলো, ‘‘যখন সিডিইউ এর দায়িত্ব নিতে কোন নেতা প্রস্তুত ছিলেন না সেরকম একটা সময়ে তিনি দলের হাল ধরেন৷ মাত্র ৪৪ বছর বয়সে দলের নেতা হন তিনি৷ এরপর ধীরে ধীরে সফলতাও দেখিয়েছেন৷ ম্যার্কেল যেটা চান, সেটা তিনি করতে পারেন-এটি এখন বিশ্বাস করে এখানকার মানুষ৷''  তাঁর মতে, ‘‘ম্যার্কেল সহনশীল, সবার কথা শোনেন৷ তারপর সিদ্ধান্ত নেন৷ এমনও হয়েছে যে, বিরোধীদের প্রস্তাব তিনি বিনা বাক্য ব্যয়ে মেনে নিয়ে জনস্বার্থ বিবেচনা করে তাদের পক্ষে সায় দিয়েছেন৷ এইসব মানুষ খেয়াল করে৷ সে কারণেই তিনি এখনও জনপ্রিয়৷''

শুক্রবার ডয়েচে ভেলের সাথে ফেইসবুক লাইভেও অংশ নেন তিনি৷ পরে আরও বিস্তারিত কথা হয় তাঁর সঙ্গে৷ বার্লিনে তারঁ দলের জনপ্রিয়তা কম কেন জানতে চাইলে মোনাজ হক বলেন, ‘‘এদেশের রাজনীতি রাজধানীকেন্দ্রীক নয়৷ বিকেন্দ্রীকরণ নীতি আছে বলেই সব দল সমানভাবে কাজ করে যাচ্ছে৷ ভিন্নমতের জায়গা এখানে প্রতিষ্ঠিত৷ কাজেই রাজধানীতে কেউ একজন জিতল আর তা নিয়েই বাকিদের মাথা নষ্ট হয়ে গেলো সেটি হয় না এখানে৷''

<iframe src="https://www.facebook.com/plugins/video.php?href=https%3A%2F%2Fwww.facebook.com%2Fdwbengali%2Fvideos%2F10154861913820978%2F&show_text=0&width=560" width="560" height="315" style="border:none;overflow:hidden" scrolling="no" frameborder="0" allowTransparency="true" allowFullScreen="true"></iframe>

মোনাজ হকের কথার প্রমাণ মিললো আরেক ভোটারের সাথে কথা বলেই৷ এবারই প্রথম ভোটার হওয়া রাফিউ আহমেদ জানালেন, তার পছন্দ এসপিডি৷ বার্লিনে সব সময়ই জনপ্রিয় এই দল৷ রাফিউ বলেন, ‘‘তার মতো অনেক তরুণ প্রকাশ্যে পছন্দের প্রার্থী নিয়ে কথা না বললেও তারা এই দলকে যে পছন্দ করেন সেটি বোঝা যায়৷'' তবে ম্যার্কেলও বেশ জনপ্রিয় বলে জানালেন তিনি৷ 

তবে একতরফা জনপ্রিয়তার বাইরে বামদলসহ কট্টপন্থিরা আঙ্গেলা ম্যার্কেলের বেশ কিছু সমালোচনাও তুলে ধরেন৷ ভারতের কলকাতার মিতালী মুখোপাধ্যায় তাদেরই একজন৷ ২২ বছর ধরে এই দেশে তিনি৷ শিক্ষকতা করছেন৷ তাঁর মতে, ‘‘প্রদীপের নিচে যেমন কিছু অন্ধকার থাকে তেমনি ম্যার্কেলেরও যে কেবল সবই প্রশংসা করার মতো তা নয়৷ এদেশে এখন একশ্রেণির মানুষ খুব ধনী আর এক শ্রেণির মানুষ একেবারে সাধারণ অর্থনীতির৷ যারা সরকারের অনেক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল৷ বিশেষত শিক্ষা ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে৷ এই পরিস্থিতি এদেশে তৈরি হয়েছে এই ম্যার্কেলের আমলে৷ ধনীদের তিনি প্রাইভেট নানা সুবিধা পেতে সাহায্য করেছেন৷ ফলে তারা চাইলেই প্রাইভেট পাস দেখিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ডাক্তার দেখাতে পারেন৷ অন্যদের যেখানে লাগে তিন মাস৷''

মিতালী যোগ করেন, ‘‘এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়া এবং একইসাথে অভিবাসীদের ম্যার্কেলের অনেক দেখভাল করার কারণে অনেক জার্মান নাগরিক মনে মনে তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ৷ তারা হয়ত নীরব বিপ্লব করে তাকে ভোটে হারিয়ে দিতে পারবে না, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাঁর জনপ্রিয়তা তো অবশ্যই কমেছে৷''

এ বিষয়ে আপনার কোনো মন্তব্য থাকলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে৷