1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলা স্কুলের উদ্যোক্তা

আরাফাতুল ইসলাম১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ছাড়াও গত তিন বছরে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অত্যন্ত সক্রিয় ছিল বার্লিনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস৷ মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মসূদ মান্নান-এর তত্ত্বাবধানে জার্মান ভাষায় একাধিক বইও প্রকাশ করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/17cxz
ছবি: DW

ডয়চে ভেলেকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত জনাব মসূদ মান্নান জানান, ‘‘বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেড়শতম জন্মবার্ষিকী বড় করে পালন করেছি আমরা৷ দূতাবাসের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে নয়টি অনুষ্ঠান করা হয়েছে৷ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান৷''

আগামী ১৫ই ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরে যাচ্ছেন জনাব মান্নান৷ বিদায়ের প্রাক্কালে তাই তিনি ফিরে তাকালেন অতীতের দিকে৷ জার্মানিতে তিন বছরে তাঁর অর্জন কম নয়৷ বার্লিনের স্থানীয় বাঙালিদের দাবি বা চাহিদার ভিত্তিতে দূতাবাসের পক্ষ থেকে বাংলা শেখার একটি বিদ্যালয়ও প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি৷ মান্নান বলেন, ‘‘স্থানীয় যারা বাংলাদেশি বা বাঙালি আছেন, তাদের জন্য বাংলা ভাষা শেখা, বাংলা ইতিহাস জানা বা বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চা করা বিশেষ করে পরবর্তী প্রজন্মকে নিয়ে –  সেরকম সুযোগ ছিল না বার্লিনে৷ এখানে আমরা বাংলা পাঠশালা নামে দূতাবাসের পৃষ্ঠপোষকতায় একটি বিদ্যালয় গড়ে তুলেছি৷''

অর্জন কম নয়

এরকম বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে জার্মানিতে বসবাসরত বাঙালিদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলেন রাষ্ট্রদূত মসূদ মান্নান৷ বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে সেটা তাঁর দায়িত্বও বটে৷ রাষ্ট্রদূত জানালেন, ‘‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের উপর আমরা দু'টি বই প্রকাশ করেছি৷ একটা একেবারে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশ করা হয়েছে৷ এটার পেছনে আমাকে দেড়-দু'বছর কাজ করতে হয়েছে৷ জার্মান ভাষায় প্রকাশিত বইটিতে বঙ্গবন্ধুর জীবন এবং কর্মের উপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিখ্যাত মানুষদের লেখা রয়েছে৷ আর পাশাপাশি জার্মানি-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কে চল্লিশ বছর পূর্তিতে একটি বই প্রকাশ করেছি আমরা৷''

প্রসঙ্গত, গত তিন বছরে রাষ্ট্রদূত মসূদ মান্নান একাধিকবার ডয়চে ভেলের বন কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন৷ এক্ষেত্রে তিনি স্মরণ করেন, ২০১০ সালের কথা৷ সেবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ ডয়চে ভেলে পরিদর্শন করেন তিনি৷ পাশাপাশি বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন নিয়ে আয়োজিত বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান এবং প্রদর্শনীতে হাজির ছিলেন মান্যবর রাষ্ট্রদূত৷ একাধিকবার তিনি সাক্ষাৎ করেছেন ডয়চে ভেলের মহাপরিচালক এরিক বেটারমানের সঙ্গে৷ বিদায় বেলায় সেসব কথা স্মরণ করেন রাষ্ট্রদূত৷ ডয়চে ভেলের প্রতি কৃতজ্ঞ তিনি৷ সমানভাবে ডয়চে ভেলের কর্মীবৃন্দও কৃতজ্ঞ ব্যতিক্রমী এই রাষ্ট্রদূতের প্রতি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য