1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাফানা বাফানা - এবার রেকর্ড হবেই

৩ জুন ২০১০

বাফানা বাফানা - এই নামে বিশ্বব্যাপী পরিচিত দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় ফুটবল দল৷ এবারের বিশ্বকাপে একটি রেকর্ড করবেই দলটি৷

https://p.dw.com/p/NglK
ছবি: AP

কিন্তু প্রশ্ন কোনটি? যেটি তাঁদের আনন্দে ভাসিয়ে দেবে সেটি, নাকি যা তাঁদের মান সম্মান ধুলোয় লুটিয়ে দেবে সেটি?

প্রথমে খারাপটার কথাই বলি৷ কারণ এই রেকর্ডটাই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি৷ গত ১৮টি বিশ্বকাপে স্বাগতিক কোনো দেশ গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয়নি৷ দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষেত্রে এবার সেই সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে৷ কারণ এর আগে ১৯৯৮ ও ২০০২ সালে বিশ্বকাপ খেলা দক্ষিণ আফ্রিকা গ্রুপ পর্ব পেরোতে পারেনি৷ আরও নির্দিষ্ট করে বললে ২০০২ সালে স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে জয় বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার একমাত্র সাফল্য৷ আর এবারতো তারা পড়েছে শক্তিশালী গ্রুপে৷ যেখানে রয়েছে মেক্সিকো, উরুগুয়ে ও ফ্রান্স৷ এর মধ্যে উরুগুয়ে দুইবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে৷ আর ফ্রান্স হয়েছে একবার৷ মেক্সিকো চ্যাম্পিয়ন না হলেও প্রায় নিয়মিতই তারা বিশ্বকাপ ফুটবলে অংশ নিচ্ছে৷

তবে এই গ্রুপ থেকে উতরে যেতে পারলেই কিন্তু বাফানা বাফানারা করে ফেলবে অন্য রেকর্ডটি৷ অর্থাৎ প্রথমবারের মত দ্বিতীয় পর্বে উঠা৷ আর এটার আশাই করছেন সমর্থকরা৷ তবে এর জন্য চাই অনেক অনেক ভাল পারফরম্যান্স৷ তবে আশার কথা, খেলার সময় স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শকদের সমর্থন পাবেন খেলোয়াড়রা৷ প্রতিটি খেলায় প্রায় ৭০ হাজার দর্শক উপস্থিত থাকবেন তাঁদের প্রিয় ‘ভুভুজেলা' বাঁশি নিয়ে৷ প্রায় এক মিটার লম্বা এই বাঁশি থেকে যে জোরে শব্দ বের হয় তা অন্য দেশের খেলোয়াড়দের মনোযোগে সহজেই চিড় ধরাতে সক্ষম৷ ২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত কনফেডারেশন্স কাপে এই ভুভুজেলার শব্দে অতিষ্ট হয়ে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় ও কোচ ফিফা'র কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন যেন বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় সমর্থকরা এই বাঁশি নিয়ে স্টেডিয়ামে যেতে না পারে৷ কিন্তু ভুভুজেলা আফ্রিকার ঐতিহ্যের একটি অংশ, এই বিবেচনায় ফিফা তাঁদের দাবি মেনে নেয়নি৷ ফলে ধরে নেয়া যায়, সমর্থকদের কাছ থেকে বেশ ভাল একটা সমর্থন পেতে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা৷

Süd-Afrika Schulkinder beim Fußball
সমর্থকরা চায় তাঁদের প্রিয় দল দ্বিতীয় পর্বে উঠে রেকর্ড করুকছবি: AP

বাফানা বাফানাদের সবচেয়ে বড় তারকা হলো তাঁদের কোচ কার্লোস আলবার্তো পেরেইরা৷ ১৯৯৪ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের এই কোচ এই নিয়ে মোট ছয়বার বিশ্বকাপে আসছেন৷ দক্ষিণ আফ্রিকা হলো তাঁর পঞ্চম দল৷ আর খেলোয়াড়দের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা হলো মিডফিল্ডার স্টিভেন পিনার৷ ইংলিশ দল এভারটনের এই খেলোয়াড়ের জ্বলে উঠার উপর নির্ভর করছে বাফানা বাফানাদের অনেক কিছু৷

প্রতিবেদন : জাহিদুল হক

সম্পাদনা : দেবারতি গুহ