1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গুতেরেসই জাতিসংঘের মহাসচিব!

৬ অক্টোবর ২০১৬

পর্তুগালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও গুতেরেসই জাতিসংঘের পরবর্তী মহাসচিব হতে চলেছেন৷ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো নতুন মহাসচিব নির্বাচনের আগেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে৷

https://p.dw.com/p/2QvQ7
পর্তুগালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও গুতেরেস
ছবি: Getty Images/AFP/K. Betancur

নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালেই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আনুষ্ঠানিক ভোট হবে৷

সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে গুতেরেস বলেছেন, তিনি যদি মনোনীত হন, তবে তার প্রধান লক্ষ্য হবে প্রধান বৈশ্বিক সমস্যাগুলোর সমাধান করা৷ তিনি একজন ‘সৎ দালাল' হতে চান, একজন সেতুবন্ধক, যে সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা বর্তমানে এমন এক পৃথিবীতে বাস করছি, যেখানে নিত্যদিন নতুন নতুন সমস্যার উদ্ভব হচ্ছে৷ আর এসব দ্বন্দ্ব ও সমস্যা সমাধান করা খুবই কঠিন৷ এই সংঘাত দমনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যে বিপুল পরিমাণ ব্যর্থতা রয়েছে, তা স্পষ্ট৷ এজন্য শান্তি প্রতিষ্ঠায় নতুন কূটনৈতিক পন্থা অবলম্বন প্রয়োজন৷'' তিনি বলেছেন, ‘‘যে জীবনে অনেক পেয়েছে, তার অবশ্যই উচিত অন্যদের কিছু ফিরিয়ে দেয়া৷ এটাই দ্বন্দ্ব নিরসনের সহজ পন্থা৷'' 

নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান সভাপতি রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভিতালি চুরকিন‍ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তাদের ষষ্ঠ অনানুষ্ঠানিক ভোটের পর একজন প্রার্থী স্পষ্ট এগিয়ে আছেন আর তিনি হলেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক কমিশনার আন্তোনিও গুতেরেস৷

যেভাবে চূড়ান্ত অনুমোদন

৩১ ডিসেম্বর বর্তমান মহাসচিব বান কি-মুনের মেয়াদ পূর্ণ হবে৷ ৬৭ বছর বয়সি গুতেরেস চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে নতুন বছরের শুরুতেই নতুন মহাসচিব হিসেবে তিনি জাতিসংঘের হাল ধরবেন৷


পেশায় প্রকৌশলী গুতেরেস রাজনীতিতে আসেন ১৯৭৬ সালে৷ ১৯৯২ সালে তিনি পর্তুগালের স্যোশালিস্ট পার্টির নেতা নির্বাচিত হন, তিন বছর পর হন প্রধানমন্ত্রী৷ ২০০৫ সালে গুতেরেস জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক কমিশনের দায়িত্ব নেন৷ এরপর এক দশক তিনি ব্যস্ত ছিলেন সিরিয়া, আফগানিস্তান ও ইরাকের মতো দেশগুলোর শরণার্থী সঙ্কট মোকাবেলায়৷

মহাসচিব নির্বাচিত করার নিয়ম

বিশ্বের বিভিন্ন ভৌগোলিক অঞ্চল থেকে পালাক্রমে মহাসচিব বেছে নেওয়া হয়৷ সে হিসেবে এবার নতুন মহাসচিব নির্বাচিত হওয়ার কথা পূর্ব ইউরোপ থেকে৷ যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধি ম্যাথিউ রাইক্রফট বলেন, ‘‘যখন সারা দুনিয়া অনেক বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত, সেই সময় দায়িত্ব নিয়ে গুতেরেস জাতিসংঘকে নেতৃত্বের পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবেন বলে আশা রাখছি৷''

নারী প্রার্থী

জাতিসংঘের শীর্ষ পদে কখনোই কোনো নারীকে দেখা যায়নি৷ এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা সাতজনই ছিলেন নারী৷ নারী প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হিসেবে উচ্চারিত হচ্ছিল বুলগেরিয়ার ইরিনা বোকোভা'র নাম৷ ৬৩ বছর বয়সী ইউনেস্কোর এ মহাপরিচালক নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের ভোটে চতুর্থ হয়েছেন৷ প্রার্থীদের মধ‌্যে আরও ছিলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্ক৷ ৬৬ বছর বয়সি এ নারী বর্তমানে জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থার প্রধান৷

নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশের হাতে জাতিসংঘের মূল ক্ষমতা থাকলেও মহাসচিবকে অনেক গুরুদায়িত্ব পালন করতে হয়৷ এর মধ্যে আছে বিশ্বশক্তিগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক চাহিদার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, গোপনে ও প্রকাশ্যে আন্তর্জাতিক বিরোধ নিষ্পত্তিতে ভূমিকা রাখা এবং বিশাল একটি আমলাতন্ত্রকে পরিচালনা করা৷ জাতিসংঘ মহাসচিব পদে একজন দুই মেয়াদে সর্বোচ্চ ১০ বছর দায়িত্ব পালন করতে পারেন৷

এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান