‘বাঘের বাচ্চা মুস্তফা কামাল' | পাঠক ভাবনা | DW | 01.04.2015
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘বাঘের বাচ্চা মুস্তফা কামাল'

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলে (আইসিসি) সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আ হ ম মুস্তফা কামাল৷ তাঁর এই সিদ্ধান্তকে বেশিরভাগ পাঠকই স্বাগত জানিয়েছেন, তবে ব্যতিক্রমও রয়েছে৷

আইসিসি-র সভাপতির পদ থেকে মুস্তফা কামালের পদত্যাগের সিদ্ধান্তে মোহাম্মদ ইয়াসিন রাজুর মন্তব্য, ‘‘ধন্যবাদ অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য, বাঘের বাচ্চা৷''

মোহাম্মদ সোহেল গর্ব করে তার মতামত জানিয়েছেন এভাবে, ‘‘আপনি প্রমাণ করে দিলেন অন্যায়ের কাছে বাঙালি মাথা নত করে না৷''

আবদুললাহেল ফরিদও কামালের সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে মনে করেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘বাঘের বাচ্চা! সঠিক সিদ্ধান্ত- আইসিসি এখন ভারতীয় দালালদের সংস্থা৷ অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেই হবে সেই অন্যায় যদি ভারতের ভগবান (মোদি)ও করে থাকে৷'' অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য মুস্তফা কামালকে ধন্যবাদ দিয়েছেন বাদশা যুবায়ের'ও৷

ইমরান, কবীর হুমায়ূন, এইচএম শাওন হাওলাদারসহ অনেকেই এই সংবাদে খুশি এবং মুস্তফা কামালকে কেউ বাঘের বাচ্চা, কেউবা সাবাস বাঙালি, ‘বীর বাঙালি' ইত্যাদি বলে অভিনন্দন জানিয়েছেন৷

ফরিদ আহমেদ, মাসুম, শাহাদাত হোসেন, সাইফুল্লাহ, শফিকুল আলম ও কাজি মুরাদ আলম এবং পাঠক শহীদউল্লাহর মতে, পদত্যাগই সঠিক সিদ্ধান্ত৷

কাজি মাহমুদ, আল-হোসেন, তৌহিদ আলম, খান আওয়াল হোসেন সবাই মুস্তফা কামালকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন৷

তবে পাঠক রাইনুম মনির রহমানের মন্তব্য খানিকটা আক্রমণাত্বক৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘সো-কল্ড আন্তর্জাতিক এই পদটি আপনি ছাড়তেই পারেন৷ যখন সাকিব আল হাসানকে পা ধরে মাফ চাইতে বাধ্য করেছিলেন তখন কোড অব কন্ডাক্ট ভাঙেন নাই? সেই লজ্জায় তো দেশে আকড়ে থাকা পদসমূহ ছাড়েন নাই৷ মূল্যায়নহীন পদ ছাড়লেই কি আর না ছাড়লেই কি? মানুষ আর কয়দিন বাঁচে? দেশ সেবার দায়িত্বকে ইবাদত হিসেবে নিন৷ চিরদিন মানুষ মাথায় করে রাখবে৷ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আপনার সাথে সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ঘটনা সমূহকে জাতীয় ক্রিকেটে আপনার পূর্বের ভুল কর্মের ফল হিসেবেই দেখছি৷''

ভিন্ন মত পোষণকারী আরেক পাঠক শমীক বিশ্বাসের মন্তব্য, ‘‘শেষ পর্যন্ত গান্ডুটাকে পালাতেই হলো৷''

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

নির্বাচিত প্রতিবেদন