বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরছে বিশ্বব্যাংক
১৮ অক্টোবর ২০১৬বাংলাদেশের সাফল্যের স্বীকৃতি দিতে সোমবার ‘আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য বিমোচন দিবস' পালিত হয় ঢাকায়৷ বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম উপস্থিত ছিলেন সেখানে৷ এছাড়া দুটি হ্যাশট্যাগ - #প্রসপারবাংলাদেশ ও #আগাওবাংলাদেশ - ব্যবহার করে ফেসবুক আর টুইটারে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির খবর তুলে ধরা হচ্ছে৷ বিশ্বব্যাংক বলছে, ‘‘স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে সংশয়বাদীদের ভুল প্রমাণ করে এসেছে৷ ১৯৭৪ সালের পর থেকে সেখানে কোনো দুর্ভিক্ষ হয়নি৷ ১৯৯১ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে ২০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ দারিদ্রতা থেকে মুক্তি পেয়েছে৷''
বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার আগে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম টুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে বাংলাদেশের কয়েকটি অনুপ্রেরণামূলক কাহিনি শোনানো হয়েছে৷
এরপর বাংলাদেশে পৌঁছে তিনি আরেকটি টুইট করেন৷ সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘‘দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় সাফল্য আমাদের আশা দেখায় যে, অন্য দেশও সেটা করতে পারে৷''বিশ্বব্যাংক তাদের এক ফিচার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বরিশালের হালিমার সাফল্যের কথা উল্লেখ করেছে৷ ২০১২ সালে বিশ্বব্যাংকের এক প্রকল্পের আওতায় পাঁচ হাজার টাকা ঋণ পান তিনি৷ সেই টাকা দিয়ে মুরগী ও ছাগল কেনেন৷ এখন তাঁর প্রতিমাসে আয় ৫৩ হাজার টাকা বলে প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়েছে৷
সৌরবিদ্যুতে বাংলাদেশের সাফল্যের ভিডিও টুইট করেছে বিশ্বব্যাংকের জ্বালানি বিষয়ক বিভাগ৷ এতে বলা হয়েছে, এক দশক আগে বাংলাদেশের ৫০ শতাংশেরও কম নাগরিকের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুবিধা ছিল৷ এখন সেটি ৭৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে৷
শিক্ষা, নিরাপদ পানি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় নেয়া পদক্ষেপ বিষয়ে বাংলাদেশের সফলতা নিয়ে বিশ্বব্যাংকের আরও কয়েকটি টুইট৷
২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য দূরীকরণে বাংলাদেশ সঠিক পথেই আছে এবং আশা করা যায়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ চরম দারিদ্র্য দূর করে দেখাতে পারবে৷
সংকলন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী