1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে বাঘ সংরক্ষণের পরিকল্পনা

২৯ অক্টোবর ২০০৯

বাংলাদেশ প্রথমবার জাতীয় রয়েল বেঙ্গল টাইগার সংরক্ষণ পরিকল্পনা তৈরি করেছে৷ যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সুন্দরবনের আনুমানিক ৩০০থেকে ৫০০ বাঘ সংরক্ষণ করা হবে৷

https://p.dw.com/p/KIHY
ফাইল ফটোছবি: AP

বাংলাদেশের পরিবেশ সচিব মিহির কান্তি মজুমদার এই পরিকল্পনা সম্পর্কে বলেন, এটি গোটা পরিবেশের জন্য একদিকে ইতিবাচক হবে৷ পাশাপাশি প্রকৃতি নির্ভর মনুষের জীবিকা নির্বাহেও সাহায্য করবে৷ বিশেষজ্ঞরা এই পরিকল্পনাকে ‘‘বাঘ সংরক্ষণে একটি পদক্ষেপ'' হিসাবে অভিহিত করেছেন৷ বাংলাদেশের পরিবেশ সংরক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মতে, বাঘ সংরক্ষণের পথে বাংলাদেশ বেশ অনেক দূর অগ্রসর হতে পেরেছে৷ এই পরিকল্পনাটি তৈরি করছে, বাংলাদেশের বন বিভাগ এবং ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট অফ বাংলাদেশে৷ সহযোগিতায় ছিল বিশ্বের নামকরা আরো অনেক প্রতিষ্ঠান৷

এদিকে ভয়ঙ্কর প্রাণী বলে পরিচিত বাঘও যে কতটা বিপদে আছে, আর তাদের সংরক্ষণে কি করা যায় তা নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন মঙ্গলবার শুরু হয়েছে নেপালে৷ সেখানে আশঙ্কা প্রকাশ করে বক্তারা জনান, বাঘ সংরক্ষকদের চেয়ে যারা বাঘের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিয়ে ব্যবসা করে তারা বেশি শক্তিশালী৷

অপর এক রিপোর্টে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাঘ সংরক্ষণে এখনই সঠিক ব্যবস্থা না নিলে, বিশ্বপ্রকৃতি থেকে আগামী দুই দশকের মধ্যে হারিয়ে যেতে পারে এই প্রাণী৷ ওয়াশিংটনে অবস্থিত সেভ দ্যা টাইগার ফান্ডের প্রোগ্রাম পরিচালক মহেন্দ্র শ্রেষ্ঠা বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টারকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এই কথা বলেন৷

তথ্য মতে, বাংলাদেশ, ভুটান, ক্যাম্বোডিয়া, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, নেপাল, রাশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামের ভূখন্ডে বাঘ রয়েছে৷ আর হিসেব করে দেখা গেছে, বর্তমানে এশিয়ার ১২ টি দেশের জঙ্গলে ৩৫০০ বাঘ রয়েছে৷ এর মধ্যে বাংলাদেশে রয়েছে ২০০টি৷ যদিও বাংলাদেশ সরকারের ২০০৪ সালের বাঘ পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যা ৪৪০টি৷ এই অল্প সংখ্যক বাঘ রক্ষার জন্য অবিলম্বে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা৷

অ্যামেরিকার স্মিথসোনিয়ান জাতীয় চিড়িয়াখানার প্রধান গবেষক জন জাইডেনস্টিক এর মতে, গত এক দশকে শুধুমাত্র বন ধ্বংসের কারণে বাঘের আবাসভূমি নষ্ট হয়েছে ৪০ শতাংশ৷ যা বিশ্বজুড়ে বাঘের সংখ্যা কমে যাওয়ার একটি অন্যতম কারণ৷

বাংলাদেশ এবং গোটা বিশ্বে বাঘ মৃত্যুর অন্যতম কারণ কালো বাজারি৷ বাঘের চামড়া এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ কালো বাজারে খুবই মূল্যবান একটি জিনিস৷ এশিয়ার দেশ চীনে একটি বাঘের চামড়া ২০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়৷ এশিয়া বন্য প্রাণীর অবৈধ বাজারের এক বড় স্থান বলে মনে করে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল৷ তাদের হিসাব মতে প্রতি বছর এই বাজারের আর্থিক লেনদেনের অংক ২০ বিলিয়ন ইউএস ডলার৷

মহেন্দ্র শ্রেষ্ঠা তাঁর সাক্ষাতকারে বলেন, বন্য প্রাণীর অবৈধ ব্যবসা এবং দ্রুত তাদের আবাস্থল ধ্বংস হবার কারণে আগামী ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে বাঘের সংখ্যায় এক ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে৷ তিনি আরো বলেন, এই অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ আছে ৷ তবে তার জন্য আমাদের নতুন উপায় খুঁজে বের করতে হবে৷ তিনি আইনের প্রয়োগ এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি আরো বৃদ্ধি করার উপর জোর দেন৷ পাশাপাশি বাঘ রক্ষার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা বাড়ানোর কথাও উল্লেখ করেন তিনি৷

প্রতিবেদক: ঝুমুর বারী

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য