বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা বাতিল
১০ মে ২০১১আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের সভাপতিত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ সংক্রান্ত আপিল গ্রহণ করে কিছু পর্যবেক্ষণসহ রায়টি ঘোষণা করেন৷ এর আগে দশম দিনের মতো শুনানি গ্রহণ শেষে গত ৬ এপ্রিল বিষয়টি আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রাখার নির্দেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত৷ গত ১ মার্চ আপিলের শুনানি শুরু হয়৷ আজ সেই আদেশ দেয়া হল৷
আদালত তাঁর রায়ে আরও বলেছেন, আগামী ১০ম ও ১১তম সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে৷ তবে তাঁরা মত দিয়ে বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদে বিদায়ী প্রধান বিচারপতি বা আপিল বিভাগের বিচারপতিকে বাদ রেখে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি সংস্কার করতে হবে৷ আদালত বলেছে, পরবর্তীতে কিভাবে নির্বাচন হবে, এ ব্যাপারে সংসদকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷
ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত হয়৷ সেই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম সলিমউল্লাহসহ অন্যরা হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন৷ এ প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ বলে রায় ঘোষণা করেন৷ রায়ে বলা হয়, ১৯৯৬ সালের ত্রয়োদশ সংশোধনী সংবিধান সম্মত৷ তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেয়া হয়৷
আপিলের শুনানিতে আদালত অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে ড. কামাল হোসেন, টিএইচ খান, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ড. এম জহির, মাহমুদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও আজমালুল হোসেন কিউসির বক্তব্য শোনেন৷ শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি প্রায় সকলেই এবং রাষ্ট্রপক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পক্ষে অভিমত তুলে ধরেন৷
প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ