1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে আইএস-এর নতুন ফ্রন্ট!

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৫ এপ্রিল ২০১৬

তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর মুখপত্র বলে পরিচিত ‘দাবিক' ম্যাগাজিনে বাংলাদেশে আইএস-এর নতুন ফ্রন্ট খোলার কথা বলা হয়েছে৷ তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশে আইএস-এর অস্তিত্ব নেই৷

https://p.dw.com/p/1IWem
আইএস
ছবি: Reuters

ভারত ও মিয়ানমারে আক্রমণ চালাতে বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলেও দাবিকের সর্বশেষ সংখ্যায় বলা হয়৷ এছাড়া দাবিক বলছে, বাংলাদেশে আইএস পরিচালনার দায়িত্বে আছেন আবু ইব্রাহিম৷ আবু জান্দাল নামে এক বাংলাদেশি আইএস সদস্য সিরিয়ায় যুদ্ধে নিহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে ম্যাগাজিনটি৷

বাংলাদেশে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী, বিদেশি নাগরিক আর ব্লগার খুনের ধারাবাহিকতায় দাবিক দাবি করছে, ‘‘বাংলাদেশের স্থানীয় জিহাদিরা আইএসের প্রতি আনুগত্য জানিয়েছে এবং তাদেরকে আইএসের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে৷''

মেজর জেনারেল আব্দুর রশীদ (অব.)

দাবিক এর সর্বশেষ সংখ্যার শেষ কয়েক পাতায় শেখ আবু ইব্রাহিম আল হানিফ নামের এক ব্যক্তির সাক্ষাৎকার ছাপা হয়েছে৷ আবু ইব্রাহিম এখন বাংলাদেশে আইএস-এর তৎপরতা পরিচালনা করছেন৷ সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনার সরকারকে ভারতের প্রতি অনুগত উল্লেখ করে আবু ইব্রাহিম বলেন, ‘‘এই অঞ্চলের মুসলমানরা বিশেষত বার্মার মুসলমানরা বৌদ্ধ ধর্ম ও হিন্দুত্ববাদের ভয়াবহ নিপীড়নের শিকার৷''

তিনি জানান, আইএস বাংলাদেশে জিহাদি কার্যক্রম শক্তিশালী করার পর তাঁরা মিয়ানমারে তৎপরতা শুরু করবেন৷ আবু ইব্রাহিম বলেন, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ব্যাপক পরিমাণে টার্গেট করা না গেলে সেখানে শরিয়া প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়৷''

দাবিক-এ আবু জান্দাল আল বাঙালি নামের এক ব্যক্তির প্রোফাইল প্রকাশ করা হয়৷ তাতে বলা হয়েছে, ‘‘জান্দাল সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে আইন ইশার যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন৷ জান্দাল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার এক সমৃদ্ধ পরিবারের সন্তান, তার সামরিক সংশ্লিষ্টতা ছিল৷ তিনি আইএসের প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেওয়ার পর থেকেই শহীদী মৃত্যুকে বরণ করতে প্রস্তুত ছিলেন৷ জান্দাল একজন একনিষ্ঠ জিহাদি ছিলেন এবং বাংলাদেশে জিহাদের পক্ষে একনিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি৷''

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য

তবে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল শুক্রবার বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশে আইএস-এর কোনও অস্তিত্ব নেই৷ বাংলাদেশে আইএস-এর কোনও সাংগঠনিক ভিত্তি নেই৷ তবে তাদের অনুসারী কেউ থাকতে পারেন৷ এদেশে আইএস-এর কোনও আস্তানা হবেও না৷''

আইএস এর সঙ্গে বাংলাদেশকে জড়িয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র বলেও মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷

তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আইএস-এর অস্তিত্ব অস্বীকার কললেও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু নতুন আরেকটি তথ্য দিয়েছেন৷ তিনি বিদেশি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘নিহত আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের কাছে প্রশিক্ষণ নেয়া অন্তত ৮ হাজার জঙ্গি বাংলাদেশে রয়েছে৷ তাদের তৎপরতার কারণে বাংলাদেশ ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকিতে রয়েছে৷''

বিশেষজ্ঞ মত

এদিকে, বাংলাদেশে আইএস-এর নতুন ফ্রন্ট সম্পর্কে জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল আব্দুর রশীদ (অব.) ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আইএস এখন তাদের মূল ভূখন্ডে বিপদে আছে৷ তাই তারা বিস্তৃত হতে চায়৷ তবে তারা বিস্তৃত হতে চায় পশ্চিমে, পশ্চিম ইউরোপে৷ দক্ষিণে বা বাংলাদেশ ও ভারতে তারা বিস্তৃত হতে চায় এমন কোনও প্রমাণ বা তথ্য এখনো আমাদের হাতে নেই৷ পশ্চিমে বিস্তৃত হলেই তাদের টার্গেটের জন্য সুবিধা৷''

তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে যেসব জঙ্গি গ্রুপ আছে তারা দেশজ৷ তাদের কিছু রাজনৈতিক দল আশ্রয়, প্রশ্রয় দেয়৷ তাদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামী অন্যতম৷ বাংলাদেশি জঙ্গিদের যা কিছু আন্তর্জাতিক যোগাযোগ তা জামায়াতে ইসলামীর মাধ্যমেই৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য