1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশকে হারিয়ে জিম্বাবোয়ের শুভ প্রত্যাবর্তন

৮ আগস্ট ২০১১

দীর্ঘদিন পর টেস্ট ক্রিকেট থেকে নির্বাসন শেষে প্রত্যাবর্তনটি দারুণভাবে করলো জিম্বাবোয়ে৷ ব়্যাংকিং’এ ওপরে থাকা বাংলাদেশকে হারালো তারা ১৩০ রানে৷ এর ফলে এক টেস্টের সিরিজটিও জিতে নিলো তারা৷

https://p.dw.com/p/12D0K
ফাইল ফটোছবি: AP

পাশাপাশি অধিনায়ক হিসেবেও শুরুটা দারুণভাবে করলেন ব্রেন্ডন টেইলর৷ প্রথমবারের মত দলকে নেতৃত্ব দিলেন তিনি এবং যোগ্যতার সঙ্গেই সেটা পালন করলেন৷ প্রথম ইনিংসে ৭১ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ১০৫৷ অধিনায়ক টেইলরের এই দুর্দান্ত ব্যাটিং জিম্বাবোয়ের খেলোয়াড়দের সর্বক্ষণ চাঙ্গা রেখেছে৷ ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একদিনের জন্যও মনে হয়নি যে জিম্বাবোয়ে দীর্ঘ ছয় বছর পর টেস্ট খেলতে নেমেছে৷ ব্যাটিং, বোলিং - সবদিক থেকেই তারা বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে ছিল৷ অন্যদিকে কয়েক মাস টেস্ট না খেলার পুরোপুরি ছাপ ছিল বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিংএ৷ উইকেটে না থেকে তাড়াতাড়ি রান তোলার দিকেই যেন তাদের মনোযোগ ছিল বেশি৷ আর এজন্য একের পর এক উইকেট পড়তে দেখা গেছে৷

ম্যাচের পঞ্চম দিন বাংলাদেশ যখন ব্যাটিংয়ে নামে তখন তাদের স্কোর তিন উইকেটে ১১২ রান৷ জয়ের টার্গেট ৩৭৫ রানের৷ তারপরও অনেকের আশা ছিল আশরাফুল-সাকিবদের ওপর৷ কিন্তু তাঁরা হতাশ করলেন৷ সবচেয়ে বেশি হতাশ করলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান৷ আশরাফুল ও মাহমুদুল্লাহ আউট হয়ে যাওয়ার পর, তিনি যেভাবে ক্রিজে নেমেই মারতে শুরু করলেন - তাতে মনে হচ্ছিলো এটি টেস্ট নয়৷ বরং টি টোয়েন্টি কোনো ম্যাচ৷ তারপর শেষ ভরসা মুশফিক যখন সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন তখন দলের রান মাত্র ১৭৪৷ জয়ের লক্ষ্য থেকে ২০১ রানে পিছিয়ে৷ এরপর আবদুর রাজ্জাক কেবল দর্শকদের বিনোদন দিয়ে গেছেন৷ মাত্র ১৭ বলে তিন ছক্কা ও পাঁচটি চার মেরে ৪৩ রান করেন তিনি৷ লাঞ্চের পর মাত্র ১৫ বলের মধ্যেই ২৪৪ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ৷ ফলে ১৩০ রানে জয় পায় জিম্বাবোয়ে৷ পেসার কাইল জার্ভিস চারটি এবং ক্রিস এমপফু তিনটি উইকেট নেন৷ পুরো ম্যাচেই জিম্বাবোয়ের পেসারদের সামনে নাকাল হয়েছে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ