এক মেয়ে লজ্জা থেকে বাঁচতে এক সঙ্গে কুড়িটা ট্যাবলেট খেয়েছিল৷
১১ এপ্রিল ২০১৫অসময়ে, অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ মেয়েদের জীবনে অনেক সময় বিপর্যয় ডেকে আনে৷ যৌন সংগমের পর নানাদিক ভেবে তাই মেয়েটি ঠিক করল, জীবন নিয়ন্ত্রণের ট্যাবলেট বা বড়ি খাবে৷ শুনেছে এসব ক্ষেত্রে একটা ট্যাবলেটই যথেষ্ট৷ কিন্তু আসলে যদি তাতে কাজ না হয়? যদি বাচ্চা এসে যায়? ভাবলেই ভয়ে রক্ত হিম হয়ে আসে তার৷ তাই একটা-দুটো নয়, বাচ্চা হবার ন্যূনতম সম্ভাবনাও মুছে ফেলতে একসঙ্গে কুড়িটি ট্যাবলেট খেয়ে নেয় সে৷ তখনও জানা ছিলনা এমন সময়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্যই আছে ‘মায়া আপা'! ট্যাবলেট খাওয়ার পর সেটা জানা হলো৷ ভাগ্যিস কেউ একজন বলেছিল!
বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিষয়ে অসচেতনতা প্রায় সর্বব্যাপী৷ সবজান্তারও অভাব নেই কোনো প্রান্তে৷ অসুখ হলে এ যুগেও ডাক্তারের কাছে যাবার পরামর্শ দেয়ার মানুষ কম, কিছু না জেনেই ডাক্তারি পরামর্শ দেয়ার মানুষ সেই তুলনায় অনেক বেশি৷ পরামর্শদাতারা সচেতন হলে খুব ভালো৷ উল্টোটা হলেই মুশকিল৷ নিজের তো বটেই, অন্যের জীবনেও বিপর্যয় ডেকে আনতে পারেন তাঁরা৷ অসচেতনতার জন্য মৃত্যুর হার নির্ণয়ের কোনো জরিপ করলে সড়ক দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর হারকে যে অনেক কম মনে হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷
স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনে অসচেতনতা, যানবাহন চালানোয় অসচেতনতা, পথ চলাচলে অসচেতনতা, সেবা প্রদানে অসচেতনতা, সেবা গ্রহণে অসচেতনতা, আইন মেনে চলায় অসচেতনতা- অসচেতনতা কোন পর্যায়ে নেই? অথচ সচেতনতা শুধু বাঁচতে শেখায় না, বাঁচাতেও শেখায়৷ নারীদের ক্ষেত্রে তো এর চেয়ে বড় সত্যি হয়ইনা৷ নিজে সুস্থ না থাকলে কোনো নারীর পক্ষে সুস্থ সন্তানের মা হওয়াও অলীক কল্পনা৷ মা সচেতন না হলে সন্তানের সার্বিক সু্স্থ-স্বাভাবিক বৃদ্ধি আশা করা নির্বুদ্ধিতারই শামিল৷ বাংলাদেশে মোবাইলের ব্যবহার বাড়ছে৷ পাল্লা দিয়ে ‘মায়া আপা'-র মতো উদ্যোগগুলোর কার্যকারিতা বাড়াটাও খুব দরকার৷