বর্ষা আসছে দেরিতে, গরমে হাঁসফাঁস কলকাতা
ভারতে বর্ষা প্রথম আসে দক্ষিণে কেরল উপকূলে, ১লা জুন৷ কিন্তু এ বছর কেরলে বর্ষা আসতে দিন পাঁচেক দেরী হয়েছে৷ তাই উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গেও দেরি হচ্ছে বৃষ্টি নামতে৷ কিন্তু তার আগেই প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল গোটা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ৷
রিকশওয়ালারা উধাও
গ্রীষ্ম-বর্ষা-শীত, কোনোকিছুই কাবু করতে পারে না প্রধানত বিহার থেকে আসা কলকাতার রিকশওয়ালাদের৷ কষ্টসহিষ্ণু বলে এদের সুনাম আছে৷ কিন্তু এবারের অত্যধিক গরমে এঁরাও পেরে উঠছেন না৷
শুনশান রাস্তাঘাট
একটু বেলা বাড়লে, রোদের তেজ অসহ্য হয়ে উঠলেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট৷ লোকে ঘরবন্দি থাকছেন, অফিস-কাছারিতে মুলতবি থাকছে বাইরের কাজ৷ নেহাত দরকার না পড়লে কেউ বেরোচ্ছেন না রোদে৷
রাস্তায় ছাতাই ভরসা
তবু কাজেকর্মে বাইরে বেরোতে হচ্ছে যাঁদের, তাঁরা অবশ্যই ছাতায় মাথা ঢেকে নিচ্ছেন৷ অনেকেই রুমালে মুখ ঢাকছেন৷ মেয়েরা মাথায় জড়িয়ে নিচ্ছেন ওড়না অথবা শাড়ির আঁচল৷ এছাড়া রোদচশমা বা বাচ্চাদের টুপি তো আছেই৷
জলের কল ঘিরে ভিড়
রাস্তার জলের কলে, টিউবওয়েলে জল নেওয়ার ভিড় জমছে সকাল থেকেই৷ শহরে জলের কষ্ট না থাকলেও পুরসভার কলে জল সরবরাহ হয় সময় বেঁধে৷ সেক্ষেত্রে ভরসা পাড়ায় পাড়ায় এই সব টিউবওয়েল৷
বিক্রি বেড়েছে বোতলের জলের
সবাই কিনতে পারেন না, কিন্তু বিত্তবানদের অনেকেই আজকাল বহুজাতিক সংস্থার বোতলবন্দি জল পানে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন৷ এই গরমে সেই জলের বোতলের বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ৷
তৃষ্ণা মেটায় ডাব
চিরাচরিত ডাবের জল গরমের দুপুরে এখনও পছন্দের পানীয়৷ কিন্তু চাহিদা বেড়ে যাওয়ায়, মওকা বুঝে সেই ডাবেরও দাম এখন চড়ে যায়৷ এমনকি ৩০-৪০ টাকায় বিকোয় এক একটা ডাব৷
গরিবের পানীয়
এখনও সাধ্যের মধ্যেই আছে ছাতুর শরবত, দাম সেভাবে বাড়েনি৷ এর পুষ্টিগুণ এবং পেট ভরিয়ে রাখার ক্ষমতা, গরমকালের প্রিয় পানীয় করে তুলেছে সাদামাটা এই পানীয়কে৷
নিজেই বিজ্ঞাপন
ছাতুর শরবত কতটা ভরসাযোগ্য, তার প্রমাণ দেন বিক্রেতা নিজেই৷ গরমে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে ব্যবসা করতে গেলে, পেট ঠান্ডা রাখতে তাঁকেও খেতেই হয় ছাতুর শরবত৷