1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বন্দুক নয়, বন্যপ্রাণী ঠেকাতে মরিচের গুঁড়ো

২৬ জুলাই ২০১০

নানা দেশে দেখা যায় যে কৃষকের ফসল ভরা খেত লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে গেছে হাতি বা অন্য কোন বন্যপ্রাণী৷ অনেক সময় অতিষ্ঠ হয়ে তারা মেরে ফেলে হানাদার পশু৷ এই প্রাণী সংহার রোধ করতে জাতিসংঘ মরিচের গুঁড়ো ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/OUTE
Elefantenbaby Thabo
বণ্য হাতি ঠেকাতে মরিচের গুঁড়ো ভর্তি পিংপং বল ব্যবহার করুনছবি: AP

মরিচের গুঁড়ো স্প্রে করুন, খেত রক্ষার কাজে ব্যবহার করুন গাধা৷ এভাবেই বন্যপ্রাণীদের দূরে সরিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘ৷ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) তার ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিবৃতিতে এই পরামর্শ দিয়েছে৷ বিশেষ করে আফ্রিকার কৃষিজীবীদের হাতে বন্যপ্রাণী হত্যা যাতে বন্ধ হয় সে জন্যেই এই পরামর্শ৷ বলা হয়েছে এর জন্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় এক ‘টুলকিট' সরবরাহ করা হবে৷

Hyenas
হায়েনারাও উৎপাত করে থাকেছবি: AP

আফ্রিকা মহাদেশে বন্যপ্রাণী আর মানুষের মধ্যে প্রতিযোগিতা সংঘাতের এক বড় উৎস৷ লোকসংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে৷ আর এই বাড়তি জনসংখ্যার প্রয়োজন মেটাতে চাই ফসল আর পশুপালনের জন্য আরো জমি৷ বনভূমি কমতে থাকায় হাতি আর বেবুনের দল ঢুকে পড়ছে মাঠে৷ তছনছ করে দিচ্ছে খেতের ফসল৷ জাতিসংঘ বলছে, প্রতি বছর বিশ্বের জনসংখ্যা প্রায় ৭৫ মিলিয়ন করে বাড়ছে৷ মানুষ আর বন্যপ্রাণীর জন্য আরো সংকুচিত হয়ে আসছে স্থান৷ ফলে সংঘাতের হুমকিও আরো বেড়ে যাচ্ছে৷ ক্রুদ্ধ কৃষকরা ফসল নষ্ট করা হাতিদের অনেক সময় মেরে ফেলে৷ জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বলছে, এই সংহার নয় আর৷ ব্যবহার করুন মরিচের গুঁড়ো৷

প্লাস্টিকের বন্দুকে থাকবে মরিচের গুঁড়ো ভর্তি পিংপং বল৷ ছুঁড়লেই তা হাতির চামড়ায় ছড়িয়ে দেবে মরিচের গুঁড়ো৷ শুরু হয়ে যাবে জ্বালাপোড়া৷ হাতি তখনই দৌড়ে অন্য কোথাও পালিয়ে যাবে৷ আরও একটি পদ্ধতির কথাও বলা হয়েছে৷ মরিচের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি এক মিশ্রণে আগুন লাগালে ধোঁয়ার জন্য হাতি আর ধারেকাছে আসবেনা৷

আফ্রিকায় বেবুনের উৎপাত খুব বেশি৷ওরা বিল্ডিং-এর ভিতর ঢুকে পড়ে খাবার চুরি করে৷ এফএও এফএও বলেছে, তাদের ভয় পাইয়ে দিতে ফাঁপা রুটির ভিতর সাপ রাখা যেতে পারে৷ মোজাম্বিকে প্রতি বছর প্রায় ৩শ মানুষ প্রাণ হারায় কুমিরের আক্রমণে৷ সেখানে পানির কাছে বেড়া দেয়ার বিশেষ ব্যবস্থা নেয়াটা জরুরি৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক