বন সিটি টুর’স
নানান প্রাচীন নিদর্শন সমৃদ্ধ জার্মানির ছোট একটি শহর বন৷ এ শহরের ইতিহাসকে পর্যটকদের সামনে তুলে ধরার জন্য বন ইউনিভার্সিটির এক ছাত্র অনন্য একটি উদ্যোগ নিয়েছেন৷ ছবিঘরে দেখুন বিস্তারিত৷
ডানিয়েল ফ্রিজেন
জার্মানির তরুণ ডানিয়েল ফ্রিজেন বন ইউনিভার্সিটিতে ইতিহাসের ছাত্র৷ বন শহরের ইতিহাস আর ঐতিহ্যকে পর্যটকদের সামনে তুলে ধরতে তিনি ‘‘বন সিটি টুর’স’’ নামে একটি ‘সাইট সিয়িং টুর’ পরিচালনা করেন৷
ওল্ডটাইমার বাস টুর
দেড় ঘণ্টার এই ভ্রমণে বন শহরের উল্লেখযোগ্য জায়গাগুলো ঘুরে দেখানে হয় পুরনো একটি ফল্কসভাগেন মাইক্রো বাসে৷ একসঙ্গে সর্বোচ্চ সাতজন অংশ নিতে পারেন এ ভ্রমণে৷
১৯৬৬ সালের ফল্কসভাগেন
ফল্কসভাগেনের এ বাসটি তৈরি হয়েছিল ১৯৬৬ সালে৷ তখন সেটি রপ্তানি করা হয় অ্যামেরিকায়৷ সেখানে বহু বছর চলার পর এক সময়ে বাসটি আবারো আমদানি হয়ে ফিরে আসে জার্মানিতে৷
বাসের চালক
ফল্কসভাগেনের এ বাসটির এখন মালিকানা ক্রিস্টোফার নেটিকুফেনের হাতে৷ চার বছর আগে এ গাড়িটি সংগ্রহ করেন তিনি৷ এ ভ্রমণে বাসটি তিনি নিজেই চালান৷
সপ্তাহে এক দিন
ডানিয়েল ফ্রিজেন এবং ক্রিস্টোফার নেটিকুফেন – এই দু’জন মিলেই প্রতি রোববার দুপুর ১২টায় এই ওল্ডটাইমার বাস টুর পরিচালনা করেন৷ তবে পর্যটকদের চাহিদা মতোও তাঁরা বিভিন্ন সময়ও এই সিটি টুরের ব্যবস্থা করে থাকেন৷
বন শহরের ইতিহাস
বন শহরের অলিগলিতে ঘুরতে ঘুরতে পর্যটকদের কাছে ডানিয়েল তুলে ধরেন এ শহরের অনেক অজানা ইতিহাস৷
খরচপাতি
দেড় ঘণ্টার এ বাস ভ্রমণে জনপ্রতি খরচ মাত্র ১৫ ইউরো৷ বন সিটি টুর-এর ফেসবুক পেজ কিংবা ই-মেলেই এ টুরের বুকিং দেয়া যায়৷ টাকা পরিশোধ করতে হয় ভ্রমণ শেষে৷
শুরু এবং শেষ
ওল্ডটাইমার বাস টুরের ‘মিটিং পয়েন্ট’ সিটি সেন্টারের পুরনো নগরভবন, যাকে বলা হয় ‘আল্টেস রাটহাউস’৷ সেখান থেকেই ভ্রমণের শুরু৷ শহর ঘুরে এ ভ্রমণের শেষ হয় বন ইউনিভার্সিটিতে এসে৷
ভালো সাড়া
মাত্র ছ’সপ্তাহ আগে এ ভ্রমণ শুরু করেছিলেন ডানিয়েল৷ তিনি জানান, ইতিমধ্যেই পর্যটকদের থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছেন তিনি৷
ফ্রি ওয়াকিং টুর
পায়ে হেঁটে পর্যটকদের বন শহর ঘুরিয়ে দেখানোর এটি আরেকটি উদ্যোগ ডানিয়েলের৷ মাত্র দু’ঘণ্টায় বন শহরের উল্লেখযোগ্য স্থাপনাগুলো ঘুরিয়ে দেখান তিনি৷
সপ্তাহে তিনটি
শুক্র এবং শনিবার বিকেল ৩টায় ইংরজি ভাষায় এবং রোববার বিকাল ৩টায় জার্মান ভাষায় একটি করে ওয়াকিং টুরের ব্যবস্থা করেন তিনি৷
ফ্রি, তবে...
যে কেউ চাইলে এ গাইডেড টুরটি বিনামূল্যে করতে পারেন৷ তবে ভ্রমণ শেষে পছন্দমতো কিছু টাকা দিতে চাইলেও কোনো বাধা নেই৷