1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফ্রান্সের নির্বাচন নিয়ে জার্মানির ভাবনা

৫ মে ২০১৭

জার্মানির দৃষ্টিকোণ থেকে ফ্রান্সের রান-অফ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন যেন নিয়তির সঙ্গে অভিসারের মতো৷ মারি ল্য পেন জয়ী হলে সেটি বার্লিনের জন্য হবে বিপর্যয়৷ এমানুয়েল মাক্রোঁ জিতলেও সেটি যে পার্কে হাঁটার মতো সুখকর হবে তা নয়৷

https://p.dw.com/p/2cQB6
Frankreich Wahl TV-Debatte - Marine Le Pen & Emmanuel Macron
ছবি: Getty Images/AFP/E. Feferberg

এক বছরেরও কম সময়ের ব্যবধানে জার্মান রাজনীতিকে ব্রেক্সিট ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার মতো দুটি বড় ধাক্কার মুখোমুখি হতে হয়েছে৷ রবিবারের নির্বাচনে ল্য পেন জিতুক, বার্লিনের কেউই সেটি চান না৷ কারণ, সেটি হলে ইউরোজোন ও ইইউতে ফ্রান্সের অংশগ্রহণের সমাপ্তির শুরু হতে পারে৷ এর অর্থ হতে পারে, বহুদিন ধরে গড়ে তোলা একটি কাঠামোর ভেঙে পড়া৷ ব্রেক্সিটের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে, কিন্তু ফ্রান্স ছাড়া ইইউ হবে অকল্পনীয়৷

জরিপে মাক্রোঁ অনেক এগিয়ে থাকলেও বার্লিনের জন্য সেটি স্বস্তির কারণ হতে পারছে না৷ কারণ, ব্রেক্সিট গণভোট ও মার্কিন নির্বাচনের আগে করা জরিপের ফলাফল ভুল প্রমাণিত হয়েছে৷ তাই তো জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের কণ্ঠে উদ্বেগ দেখা গেছে৷ জার্মানির এক পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘ফ্রান্সের ভোটাররা কাকে ভোট দেবেন সেটি তাদের সিদ্ধান্ত৷ আমি তাদের প্রভাবিত করব না৷ কিন্তু মাক্রোঁ জয়ী হলে আমি খুশি হব, কেননা, তিনি ইউরোপপন্থি৷’’

প্রার্থীদের ভাবনায় জার্মানি

‘‘আমি আরও বেশি ইউরোপ চাই এবং সেটা জার্মানির সঙ্গে,’’ গত জানুয়ারিতে বার্লিনের হুমবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে বলেছিলেন তিনি৷ ‘‘আমি জার্মানিকে বিশ্বাস করি,’’ বলেছিলেন মাক্রোঁ৷ তখনও তিনি নির্বাচনি প্রচারণায় ‘আন্ডারডগ’ ছিলেন৷

এরপর মার্চে জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে দেখা করেন মাক্রোঁ৷ এর আগে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা অন্য দুই প্রার্থী ফিলন এবং হামো-ও ম্যার্কেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন৷ সেই সময় ম্যার্কেল ফিলনের সমর্থক ছিলেন৷

ল্য পেনও জার্মানি সফর করেছিলেন৷ তবে তিনি ম্যার্কেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি৷ কোবলেনৎস শহরে অনুষ্ঠিত ইউরোপের বিভিন্ন দেশের চরম দক্ষিণপন্থি দলগুলোর সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি৷ ম্যার্কেলের সমালোচক হিসেবে ল্য পেন পরিচিত৷ প্রচারণার সময় তিনি বলেছেন, ‘ম্যার্কেলের ভাইস চ্যান্সেলর’ হওয়ার কোনো ইচ্ছা তাঁর নেই৷ মাক্রোঁ ফ্রান্সকে জার্মানির পাত্রে ‘তুলে’ দিতে চান বলেও অভিযোগ করেছেন পেন৷

তবে মাক্রোঁ সহজপাত্র নন

ল্য পেন ও মাক্রোঁর মধ্যে জার্মান রাজনীতিবিদরা মাক্রোঁকে চাইলেও তিনি যে জার্মানির সবক্ষেত্রে ‘ইয়েস’ বলবেন তেমন নয়৷ যেমন মাক্রোঁ পুরো ইউরোপের জন্য একটি বাজেট চান, যা চায় না জার্মানি৷ দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে জার্মানির অনেক এগিয়ে থাকা এবং ফ্রান্সে জার্মানির কম বিনিয়োগ নিয়েও সন্তুষ্ট নন তিনি৷ অবশ্য তারপরও জার্মানির ব্যাপারে ‘ক্ষুব্ধ' নন মাক্রোঁ, বলেন লিবারেল এমইপি সিলভি গুলার৷ প্রথম পর্যায়ের নির্বাচনি প্রচারণার সময় একমাত্র মাক্রোঁই ম্যার্কেলের শরণার্থী নীতির সমর্থক ছিলেন এবং জার্মানির অর্থনৈতিক মডেল অনুসরণ করা উচিত বলে মনে করেন৷

ক্রিস্টফ হাসেলবাখ/জেডএইচ