ফ্রান্সে বোরখা বা নিকাব নিষিদ্ধ
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১০এই আইনের মূল বিষয়টি হচ্ছে, ফ্রান্সের পথে প্রান্তর, জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকা বা সভাসমাবেশে কেউ মুখাবরণ ব্যবহার করতে পারবে না৷ তবে কোন নারীকে জোরপূর্বক বোরখা বা নিকাব পরানো থেকে বিরত রাখতেও এই আইন প্রযোজ্য হবে৷ বর্তমান সার্কোজি সরকারও মূলত নজর দিচ্ছে এই দিকটাতেই৷
কেউ এই আইন ভঙ্গ করলে সেক্ষেত্রে ১৫০ ইউরো জরিমানা হবে৷ অথবা অভিযুক্তকে ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিষয়ে বিশেষ শিক্ষা নিতে বাধ্য করা হবে৷ একইসঙ্গে কোন পুরুষ তার স্ত্রীকে বোরখা বা নিকাব বাধ্য করলে তার ৩০ হাজার ইউরো পর্যন্ত জরিমানা অথবা এক বছরের কারাদণ্ড হতে পারে৷
বলাই বাহুল্য, এই আইন নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই৷ ফ্রান্সের মুসলিম সংগঠনগুলো এর বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে৷ বিশেষ করে আইন করে বোরখা নিষিদ্ধ করার বিষয়টিতে মত নেই অনেকের৷ কেননা ফ্রান্সের মোট মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে মাত্র দু'হাজার নারী বোরখা পরেন৷ তাই, তাদের জন্য এই আইন বড্ড বাড়াবাড়ি বলে মত সমালোচকদের৷
অবশ্য ফ্রান্সের আইনমন্ত্রী মিশেল আলিয়ো-মারি জানিয়েছেন, এটি নিরাপত্তা বা ধর্মের কোন বিষয় নয়, বরং এটি আমাদের প্রজাতান্ত্রিক ধারার বহিঃপ্রকাশ৷
উল্লেখ্য, বোরখা বা নিকাব নিষিদ্ধ করার এই আইন এবার তোলা হবে ফ্রান্সের সাংবিধানিক পরিষদে৷ সেখানে বাছবিচার শেষে আগামী বছরের শুরুর দিকে বোরখামুক্ত হবে ফ্রান্স৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন