1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্প ও রাশিয়া কেলেঙ্কারি

১৩ জুলাই ২০১৭

রাশিয়ার সঙ্গে অবৈধ যোগাযোগের অভিযোগে জেরবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফ্রান্স সফরে যাচ্ছেন৷ কিন্তু ছেলে ট্রাম্প জুনিয়রকে কেন্দ্র করে সর্বশেষ ‘রাশিয়া-কেলেঙ্কারি' তাঁকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/2gRGk
পুটিন ও ট্রাম্প
ছবি: picture-alliance/AP Photo/E. Vucci

১৪ই জুলাই ফ্রান্সের জাতীয় দিবসের কুচকাওয়াজে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ট্রাম্প৷ নেপোলিয়নের সমাধি পরিদর্শন করবেন, আইফেল টাওয়ারের বিখ্যাত রেস্তোরাঁয় নৈশভোজ করবেন৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ আশা করছেন, যাবতীয় মতপার্থক্য সত্ত্বেও এই সফরে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অন্তত চলনসই সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেন৷

কিন্তু নির্বাচনের সময় ট্রাম্প টিমের সঙ্গে রাশিয়ার যোগসূত্র নিয়ে ওয়াশিংটনে তোলপাড় কাণ্ড চলছে৷ প্রেসিডেন্টের পুত্র ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়রের সঙ্গে এক রুশ আইনজীবীর সাক্ষাতেরবিষয়টি নিয়ে বিতর্ক বেড়ে চলেছে৷ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন৷ রুশ আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাতের প্রশ্নে নিজের পুত্রের প্রতি সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি কয়েকদিন আগে পর্যন্ত এই সাক্ষাতের কথা জানতেন না৷

রয়টার্সের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাতের অভিজ্ঞতার কথাও বলেন৷ হামবুর্গ শহরে জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনের সময় দুই ঘণ্টারও বেশি এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ট্রাম্প নাকি ২০-২৫ মিনিট ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়ে কথা বলেছিলেন৷ পুটিন এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও ট্রাম্প এ বিষয়ে সংশয় দূর করতে পারেননি৷ তাঁর মতে, নির্বাচনের সময় অবশ্যই কিছু একটা হয়েছিল৷ এখন সেই সত্য উন্মোচন করতে হবে৷ তবে তাঁর টিমের সঙ্গে রাশিয়ার যোগসাজশের অভিযোগ উড়িয়ে দেন ট্রাম্প৷ আত্মপক্ষ সমর্থনে তিনি এও বলেছেন, যে বেশিরভাগ প্রশ্নে তাঁর সঙ্গে পুটিনের মতপার্থক্য রয়েছে৷ পুটিন হয়তো হিলারি ক্লিন্টনকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে চেয়েছিলেন৷

এদিকে মার্কিন টেলিভিশন সংস্থা সিএনএন ২০১৩ সালের ১৫ই জুন তোলা একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রাশিয়ার সেই সব ব্যক্তিদের দেখা যাচ্ছে, বর্তমান ‘ই-মেল কেলেঙ্কারি' সংক্রান্ত  বিতর্কে যাদের নাম উঠে আসছে৷

রাশিয়ার সঙ্গে অবৈধ যোগাযোগের অভিযোগে ডোমোক্র্যাটিক দলের সংবাদ সদস্য ব্র্যাড শেরম্যান কংগ্রেসের কাছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এক আনুষ্ঠানিক আবেদন পেশ করেছেন৷ প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে এখনই এই ‘ইমপিচমেন্ট' প্রক্রিয়া সম্ভব না হলেও এই পদক্ষেপের প্রতীকী তাৎপর্য নিয়ে জল্পনাকল্পনা চলছে৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য