1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফোনালাপ প্রকাশ

২৯ অক্টোবর ২০১৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়ার মধ্যকার টেলিফোন আলাপ একটি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হওয়ার পর সেটা অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে এবং তা নিয়ে এখন ব্লগ আর ফেসবুকে চলছে তুমুল আলোচনা৷

https://p.dw.com/p/1A7eQ
ছবি: picture-alliance/dpa

প্রথম আলো পত্রিকায় পুরো কথপোকথনটি লিখিত আকারে প্রকাশ করা হয়েছে৷ এছাড়া ফেসবুকে ‘শাহবাগে সাইবার যুদ্ধ' পেজে আলাপের অডিও ভার্সনটি দেয়া হয়েছে৷

অনেকেই এই ফোনালাপ প্রকাশের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন৷ যেমন সামহয়্যার ইন ব্লগে সুমাইয়া আক্তার প্রশ্ন করেছেন, ‘‘দুই নেত্রীর কথোপকথন গণমাধ্যমে কি উদ্দেশ্য (?)!' এছাড়া ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের পক্ষ থেকে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে পাঠকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তাঁরা দুই নেত্রীর ফোনালাপ গণমাধ্যমে প্রকাশের বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?

প্রশ্নটি করার ৫৭ মিনিটের মাথায় উত্তর এসেছে ১১৭টি৷ এর মধ্যে সৈয়দ নুর কামাল লিখেছেন, ‘‘মাহমুদুর রহমানের স্কাইপ সংলাপ প্রকাশ করা যদি অপরাধ হয়, ইনুর দুই নেত্রীর সংলাপ প্রকাশ করা কেন বৈধ হবে? (ইনুর নাম এজন্য বলছি যে ইনু গতকাল দিনেই সংলাপ প্রচারের কথা বলেছিল)''

অবশ্য ফোনালাপটি ছড়িয়ে পড়ার পর তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে, সরকার সেটা প্রকাশ করেনি৷ অবশ্য ‘রাষ্ট্রীয় এ সংলাপ' সম্পর্কে জানার অধিকার জনগণের রয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন৷

Kombobild Khaleda Zia und Sheikh Hasina
দুই নেত্রীর ফোনালাপ এখন অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছেছবি: Getty Images/AFP/FARJANA K. GODHULY

ডয়চে ভেলের পাঠক সবুজ আর্জুও মনে করেন, ‘‘এটা ব্যক্তিগত ফোনালাপ নয়৷ দেশ ও জনগণের স্বার্থে প্রকাশ করা বৈধ৷'' অবশ্য আরেক পাঠক বজলুর রহমান মনে করেন, ফোনালাপ প্রকাশ করার আগে বিরোধীদলীয় নেত্রীর অনুমতি নেয়া দরকার ছিল৷

এদিকে ফোনালাপের সময় দুই নেত্রীর আচরণ নিয়েও মন্তব্য করেছেন অনেকে৷ যেমন সামহয়্যার ইন ব্লগে মাসুদ রশিদ লিখেছেন, ‘‘ঠিক আছে৷ আপনারা ঝগড়া করতেই পারেন৷ গত পাঁচ বছর যে আচরণ সরকারের তরফ থেকে বিরোধী দল পেয়েছে তাতে তিনি ক্ষুব্ধ হতেই পারেন৷....প্রধানমন্ত্রীও বিরোধী দলের অসহযোগিতায় ছাড় না দেওয়ার মানসিকতা রাখতেই পারেন৷ রাজনৈতিক কারণে কিছুটা কৌশল অবলম্বনও তিনি করতেই পারেন৷ কিন্তু এখন আলোচনায় বসেন৷ দয়া করে এইবার একটা কিছু সমঝোতা করেন৷''

আসিফ মহিউদ্দীন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘এইচ.টি. ইমাম সাহেব খালেদা জিয়ার বক্তব্য সম্পর্কে যা বলেছেন, এই ফোনালাপ শোনার পরে বোঝা গেল তাতে জনাব ইমাম সাহেব মনের মাধুরী একটু বেশিই মাখিয়ে বানিয়েছেন৷....খালেদা জিয়া মুক্তিবাহিনীকে গণহত্যাকারী বলেননি, বলেছেন মুক্তিযুদ্ধের পরে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে৷ এই ধরনের অভিযোগ আরোপ খালেদা জিয়া করতেই পারেন৷''

আসিফ মহিউদ্দীনের সঙ্গে একমত হতে দেখা গেছে শরিফুল হাসানকেও৷ ফোনালাপ আংশিক প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে খালেদা জিয়ার সমালোচনা করেছিলেন৷ পরে পুরোটা শোনার পর হাসান তাঁর আগের স্ট্যাটাসের নীচে মন্তব্য করেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম মিথ্যা বলেছেন৷'' এছাড়া এ সংক্রান্ত আরেকটি স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘‘পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক নেত্রী এতো বাজে ব্যবহার কেউ করেছে কিনা আমার জানা নেই৷ মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে আপনি অপছন্দ করতেই পারেন কিন্তু তিনি তো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী৷ অন্তত সেই চেয়ারটাকে সম্মান করুন৷....মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার ধৈর্য্য দেখে অবাক হয়েছি৷ অনুরোধ দেশনেত্রীর কাছে – একটু বিনয়ী হন৷ তবে আমি এই রেকর্ড গণমাধ্যমে দেয়া সমর্থন করলাম না৷ এতে সংকট বাড়বে বৈ কমবে না৷''

সংকলন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য