বিলবোর্ড নিয়ে আলোচনা
৬ আগস্ট ২০১৩বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানিয়েছে, দলের উদ্যোগেই এই বিলবোর্ডগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে৷ আর বিরোধী দলের নেতারা এর সমালোচনা করে বলেছেন, এতে লাভ হবে না৷
ফেসবুক আর ব্লগেও এ নিয়ে চলছে আলোচনা৷ কেউ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন, কেউ করেছেন সমালোচনা৷
সুশান্ত দাস গুপ্ত তাঁর ফেসবুকে ‘আমারব্লগ'-এর একটি পোস্ট থেকে কিছু অংশ শেয়ার করেছেন৷ তাতে লিখা আছে, ‘‘ঢাকা শহরের বিলবোর্ড গুলোতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের উন্নয়নের ছবি দেখে অনেকের গা জ্বলুনি শুরু হয়ে গেসে৷ অনেকে এটা নিয়ে রঙ্গ তামাশাও করতেসেন৷ এইগুলো কেন করা হইসে জানেন? এইগুলো করা হইসে কারণ আমাদের মেমোরি গোল্ডফিশের মতন৷ আমরা অতি সহজেই অতীত ভুলে যাই৷ এমনকি চারপাশের দৃশ্যমান অনেক কিছুই আমরা দেইখাও না দেখার ভাণ করি৷''
সুশান্তর এই স্ট্যাটাসের নীচে সুব্রত দেব নাথ লিখেছেন, ‘‘বিলবোর্ডগুলোর ডিজাইন এতটা কাচা যে রঙ্গ তামাশার শিকার হওয়া স্বাভাবিক৷ সুন্দর করে বিলবোর্ডগুলো ডিজাইন করলে কখনোই এত সমালোচনা হত না৷''
সরকার তাপস লিখেছেন, ‘‘বিলবোর্ড গুলো যেহেতু আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন দেখানোর জন্য সে জন্য নেতা নেত্রীর ছবি না দেয়াই ভালো৷ বিলবোর্ডে শুধু থাকবে উন্নয়ন প্রকল্পের দৃষ্টিনন্দন ছবি এবং এই প্রকল্পে মানুষ কীভাবে উপকার পাবে সেই বর্ণনা৷''
এদিকে আশরাফ শিশির ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘নগরের বিলবোর্ডগুলো ভেসে যাচ্ছে গত ৫ বছরের উন্নয়নের জোয়ারে, তবুও নিম্নবিত্ত মানুষগুলো এসব অগ্রাহ্য করে ঢুকে পড়ছে গণতান্ত্রিক খোয়ারে৷''
তবে নুরুন নবীর মন্তব্য, ‘‘যেই টাকা বিলবোর্ডের পিছনে খরচ করা হয়েছে সেই টাকা যদি গরিব মানুষকে ঈদে নতুন জামা এবং সেমাই, চিনি কেনার জন্য দেয়া হত তাহলে আওয়ামী লীগের জন্য সেটা অনেক বেশি লাভজনক হত৷ বাংলাদেশের প্রায় সকল মিডিয়া অত্যন্ত নগ্নভাবে আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করে, তাতে কি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে লীগের পরাজয় ঠেকানো সম্ভব হয়েছে? কাজ না করে শুধু গলাবাজি, চাপাবাজি করে কি জনমত পক্ষে আনা যায়? বিলবোর্ড দিয়ে কি হলমার্ক, শেয়ারমার্কেট, পদ্মা সেতু, কুইক রেন্টাল, শাপলা চত্বরে গণহত্যা মানুষের মন থেকে মুছে দেয়া যাবে?''