ফেসবুক বিরোধীদের জন্য আসছে ‘ডায়াসপোরা’
২৯ আগস্ট ২০১০বলছি ‘ডায়াসপোরা'-র কথা৷ যারা একটি নির্দিষ্ট কাঠামোর বাইরে চলে যান, তাদেরকে বলা হয় ডায়াসপোরা৷ এই চলে যাওয়া স্বেচ্ছায়ও হতে পারে, আবার হতে পারে জোর করে৷ সম্ভবত এজন্যই ডায়াসপোরাকে বলা হচ্ছে ফেসবুক বিরোধী৷ কেননা, ফেসবুক থেকে যারা বেরুতে চান, তাদের দিকেই আপাতত নজর ডায়াসপোরা-র৷ তাই নামটা যথার্থই৷
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর নাগাদ চালু হবে ডায়াসপোরা৷ জানিয়েছে এই সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটের উদ্যোক্তারা৷ মাত্র চারজন মার্কিন তরুণ বর্তমানে কাজ করছে এই নেটওয়ার্কের পেছনে৷ তাদের মধ্যে তিনজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী আর একজন গণিতজ্ঞ৷ পুরো নেটওয়ার্কটাই হবে ওপেন সোর্স মানে কোড থাকবে উম্মুক্ত৷ ফলে ভবিষ্যতে যেকেউ এর উন্নয়ন সাধনে কাজ করতে পারবে৷
আপাতত যে খবর তাতে, ডায়াসপোরা সাড়া কিন্তু পাচ্ছে বেশ৷ চার তরুণ শুরুতে মাত্র ১০,০০০ মার্কিন ডলারের তহবিল খুঁজেছিল এই প্রকল্পটি শেষ করতে৷ কিন্তু সাড়ে ৬ হাজার মানুষ ইন্টারনেটে তাদেরকে দিয়েছে ২,০০,৬৪২ মার্কিন ডলার৷ মজার বিষয় হচ্ছে, অর্থ সংস্থানকারীদের মধ্যে নাকি আছেন ফেসবুক সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবের্গও!
ডায়াসপোরার অন্যতম উদ্যোক্তা ম্যাক্স সেল্সবের্গ এর মতে, নতুন এই সাইট ব্যবহারকারীরা তাদের শেয়ার করা তথ্যের ওপর পূর্ণাঙ্গ নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবেন৷ কোন তথ্যটি ব্যবহারকারীর সহকর্মীর কাছে যাবে, আর কোনটি যাবে তার ক্লাব সঙ্গীর কাছে তা সহজেই ঠিক করা সম্ভব হবে এই নেটওয়ার্কে৷ মোটের ওপর, ডায়াসপোরার ব্যবহার পদ্ধতিও ফেসবুকের মত জটিল হবে না জানাচ্ছেন এর উদ্যোক্তারা৷
অবশ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেসবুকের মতো বিশাল সামাজিক নেটওয়ার্ককে এত সহজে কাবু করা সম্ভব হবে না৷ কেননা, ফেসবুকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০ কোটির ওপরে, তাছাড়া বর্তমানে এটির বিক্রয়মূল্য ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই