1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেসবুক-টুইটারে ইন্দোনেশিয়ার ধর্মগুরুদের পদচারণা

২৬ ডিসেম্বর ২০১০

ধীরে ধীরে সর্বস্তরে প্রবেশ করছে ইন্টারনেট ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো৷ এবার ঢুকে গেলো একেবারে বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ার ধর্মবেত্তাদের ঘরেও৷ টুইটার-ফেসবুকে চলছে ধর্মের নানা দিক নিয়ে তর্কযুদ্ধও৷

https://p.dw.com/p/zpnG
Logos, Online, Communities, Facebook, Twitter, Indonesia, Social, Network, Internet, Jakarta, Religion, Cleric, Muslim, ফেসবুক, টুইটার, ইন্দোনেশিয়া, ধর্মগুরু, পদচারণা, Obama, মিশেল, ওবামা, ইন্টারনেট, অনলাইন, বিসরি,

সম্প্রতি বাজার গবেষণা সংস্থা কমস্কোর-এর সমীক্ষায় জানা গেছে, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর অনুপাত ইন্দোনেশিয়ায়৷ ৪১ টি দেশের পরিসংখ্যান বিবেচনা করে দেখা গেছে, ২৪ কোটি মানুষের দেশ ইন্দোনেশিয়ার ২০ শতাংশ মানুষই প্রায় সময় ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত৷ আর দেশটির এই সাফল্যের আরো গভীরে গিয়ে দেখা গেল, সেখানকার তথ্য মন্ত্রী রক্ষণশীল মুসলমান তিফাতুল সেমবিরিঙ-এর রয়েছে এক লাখ বিশ হাজার টুইটার ভক্ত৷ এমনকি সম্প্রতি তিনি মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার সাথে করমর্দন করার বিষয়টি নিয়ে টুইট করে বেশ বিব্রতকর মন্তব্যের মুখে পড়েছেন বিরোধীদের পক্ষ থেকে৷

গত নভেম্বরে জাকার্তায় মিশেল ওবামাকে রাষ্ট্রীয় অভ্যর্থনা জানাতে গিয়ে মিশেলের সাথে করমর্দন করার বিষয়টি নিয়ে করা টুইটের জবাবে সোচ্চার হয়েছেন দেশটির উদারপন্থী মুসলমান বুদ্ধিজীবী উলিল আবশার আবদাল্লা৷ টুইটারে তাঁর ভক্তের সংখ্যা ৩৫ হাজার৷ আবার একজন নারীর সাথে করমর্দনের ব্যাপার নিয়ে তথ্যমন্ত্রীকে আরো শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির বৃহত্তম ইসলামি সংস্থা নাহলাতুল উলামা'র শীর্ষ পর্যায়ের ধর্মগুরু আহমাদ মুস্তফা বিসরি৷

৬৬ বছর বয়সি এই ধর্মীয় নেতা বিসরি টুইটারে তাঁর সাত হাজার ভক্তের কাছে পরিচিত ‘কিয়াই গাউল' নামে৷ এর অর্থ দাঁড়ায় আধুনিক ধারার সাথে খাপ খাইয়ে চলা ধর্মগুরু৷ ভক্তরা তাঁকে অবশ্য বেশি চেনে মুস্তফা ভাই বা ‘গুস মুস' বলে৷ যাহোক, বিসরি বলেন, ‘‘আমি প্রত্যেকের সাথে বন্ধুত্ব করতে পছন্দ করি, তাই গত মাসেই একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছি৷ আমি সেখানে ধর্মবেত্তা হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করি না৷ বরং আমি যা জানি তা-ই অন্যদের সাথে শেয়ার করি৷''

সোশ্যাল নেটওয়ার্কে নিজের উপস্থিতির গুরুত্বটা তিনি তুলে ধরেন এভাবে, ‘‘সঠিক বিশ্বাস রয়েছে যাদের তাদেরই উচিত তা প্রচার করা৷ কিন্তু যারা জানে না তারা যদি কিছু প্রচার করতে যায়, তাহলে মানুষকে ভুল পথে পরিচালনা করার আশঙ্কা থাকে৷'' নিজের পক্ষ থেকে ধর্মীয় সহিষ্ণুতা এবং উদারনীতির বার্তা প্রচারে বিসরি শুধু টুইটারেই নয়, ফেসবুকেও রয়েছে তাঁর সরব উপস্থিতি৷ সেখানে তাঁর বন্ধু ২,৬০০ এবং ভক্ত ৬২ হাজার৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান