ছবির প্রিমিয়ারে বেকহাম
৩ ডিসেম্বর ২০১৩ডেভিড বেকহাম, ফিল নেভিল, গ্যারি নেভিল, নিকি বাট, রায়ান গিগস এবং পল শোলস- গত দুশকের ইংলিশ ফুটবলের ছয় উজ্জ্বল নাম৷ তাঁদের নিয়েই নির্মিত হয়েছে ‘দ্য ক্লাস অফ ৯২'৷ ছবির গল্পের শুরু এই ছয় ফুটবলারের হাত ধরে ম্যানচেস্টার ইউনাটেড (ম্যান ইউ) এর পুনরুত্থানের সময় থেকে৷ সেই ১৯৯২, ম্যান ইউ যখন ২৫ বছরে একবারও ইংল্যান্ডের প্রথম বিভাগ জিততে না পারায় হতাশায় আক্রান্ত, ঠিক তখনই ব্যর্থতার বলয় থেকে ক্লাবকে বের করে আনতে ছয় তরুণ ফুটবলারকে মূল একাদশে নিয়েছিলেন ম্যানেজার স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন৷ ফুটবল বিশ্লেষকদের অনেকেই স্যার ফার্গির এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন৷ তাঁদের মনে হয়েছিল তরুণ ছয় ফুটবলারের ওপর এতটা আস্থা রাখা ভুল এবং এর ফলে ম্যান ইউ-র ব্যর্থতার ইতিহাস আরো দীর্ঘ হবে৷
কিন্তু হয়েছে উল্টোটা৷ ১৯৯২ সাল থেকেই প্রথম বিভাগ লিগের জায়গায় ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগের নাম দেয়া হয় ‘প্রিমিয়ার লিগ'৷ ছয় টগবগে তরুণের দাপটে ২৫ বছরের হতাশার অবসান ঘটিয়ে ১৯৯২-৯৩ মৌসুমেই প্রিমিয়ার লিগ জিতেছিল ম্যান ইউ৷ বেকহাম, ফিল নেভিল, গ্যারি নেভিল, নিকি বাট, রায়ান গিগস এবং পল শোলস তারপর শুধু নিজেদের ক্লাবকেই বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাবের মর্যাদায় ফিরিয়ে আনেননি, দেশের হয়েও খেলেছেন দীর্ঘকাল, পেয়েছেন বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সাফল্য৷ বাকিরা আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিয়ে ফেললেও রায়ান গিগস এখনো খেলছেন ইংল্যান্ডের হয়ে৷ রোববারের অনুষ্ঠানে তিনিও ছিলেন৷
তবে বরাবরের মতো এবারও ইংল্যান্ডের ফুটবলারদের মধ্যে পাদপ্রদীপের সবচেয়ে বেশি আলো ছিল ডেভিড বেকহামের ওপর৷ তারুণ্যের দিনগুলোতে ফিরিয়ে নেয়া এ ছবি আবেগাপ্লুত করে ফেলে তাঁকে৷ বেকহাম জানান ছবি দেখলে তাঁর মা-ও না কেঁদে থাকতে পারবেন না৷
বড় কোনো আনন্দে মন অনেক সময় কেঁদে ওঠে৷‘দ্য ক্লাস অফ ৯২' ছবির প্রিমিয়ার তেমন উপলক্ষ্য হলেও ডেভিড বেকহাম কান্না সামলেছেন৷ ‘ছবিতে অভিনয় করে ভালো লেগেছে'- এ কথা জানিয়েছেন, তবে পাশাপাশি আর কখনো অভিনয় করার ইচ্ছে নেই বলেও জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘অভিনয়ে আমি খুব একটা ভালো নই৷ তাই মনে হয় এ (অভিনয়) শিল্পে আর বেশি না জড়ানোই ভালো হবে৷''
এসিবি/জেডএইচ (এএফপি)