ফুকুশিমা এখনো ধুঁকছে
ভূমিকম্প, সুনামি আর পারমাণবিক কেন্দ্র বিস্ফোরণের ক্ষতি সামলে ওঠার জন্য এখনো লড়ছে জাপান৷ পাঁচ বছর আগে ত্রিমুখী আক্রমণে বিপর্যয় নেমে এসেছিল৷ ফিরে দেখা যাক সেই দিনটি, দেখা যাক এখন কী অবস্থায় আছে ফুকুশিমা৷
১৮ হাজারেরও বেশি মানুষের ঘাতক
২০১১ সালের ১১ই মার্চ ২টা ৪৬ মিনিটে যেন প্রলয় শুরু হয়েছিল জাপানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে৷ প্রথমে প্রচণ্ড ভূমিকম্প৷ রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার সেই ভূমিকম্পের কারণে শুরু হলো সুনামি৷ তাতে মারাত্মক ক্ষতি হলো ফুকুশিমার পারমাণবিক কেন্দ্রটির৷ পারমাণবিক চুল্লি ছিদ্র হয়ে চারপাশে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ল৷ সুনামিতে ধ্বংস হয় অনেক বাড়ি-ঘর৷ এক হিসেবে মোট ১৮ হাজার ৫শ’ মানুষ মারা যায় সেদিন৷ নিখোঁজ হয় ২ হাজার মানুষ৷
এখনো ভুগছে মানুষ
ফুকুশিমার বিপর্যয়ে যে শুধু ১৮ হাজার মানুষ মারা গেছে তা নয়, অসংখ্য মানুষকে এখনো ভোগ করতে হচ্ছে বিপর্যয়ের পরিণাম৷ দায়িচি পারমানবিক চুল্লির আশপাশের এলাকায় এখনো তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে আছে৷ অনেকেই এখনো নিজের ঘরে ফিরতে পারেননি৷
শূন্য স্কুল
দাইচির কাছের এই স্কুলটি এখনো খালি পড়ে আছে৷
এখনো চলতে হয় সাবধানে
এখনো তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে আছে৷ তাই সংবাদ সম্মেলনেও সাংবাদিককে বসতে হয় এই পোশাকে৷
প্রার্থনা
এখানেই একসময় ছিল নিজের বাড়ি৷ ছবির এই নারী ২০১১ সালের ১১ই মার্চ বাড়ি হারিয়েছেন, সঙ্গে হারিয়েছেন স্বজনদেরও৷ তাই ফুল দিয়ে হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের জন্য প্রার্থনা করছেন তিনি৷
স্বজনদের স্মরণ
প্রতিবছর এই দিনে ২০১১ সালের ১১ই মার্চের দুর্যোগে হারানো মানুষদের স্মরণ করে জাপান৷ চিরতরে হারিয়ে যাওয়া প্রিয়জনদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন এক বৌদ্ধ ভিক্ষু৷
জাতীয় শোক
প্রতি বছর শোকের পরিবেশেই পাঁচ বছর আগের দিনটিকে স্মরণ করে জাপান৷ ১০ মার্চ জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে যখন সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছিলেন তখন কালো ফিতা দেখা গেল জাতীয় পতাকায়৷ ফুকুশিমায় নিহতদের স্মরণ করতেই পতাকায় লাগানো হয় কালো ফিতা৷