প্রেম নিবেদনের কত উপায়!
কোনো দেশ বা কোনো সংস্কৃতির মানুষ কীভাবে ভালোবাসার মানুষটিকে বিশেষ অনুভূতি জানায়? এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এলো দারুণ মজার কিছু তথ্য৷ দেখুন ছবিঘরে...
মনে প্রেম, বগলে আপেল...
অস্ট্রিয়ায় মেয়েদের মধ্যে প্রেম নিবেদনের অদ্ভুত এক রেওয়াজ আছে৷ গ্রাম এলাকায় ঐতিহ্যবাহী নাচের সময় মেয়েরা আপেল নিয়ে বগলের নীচে রাখে৷ আর কিছুক্ষণ পর সেই আপেল তুলে দেয় ভালোলাগার মানুষটির হাতে৷ ছেলেটি যদি পেলটি খায়, তাহলে বুঝে নিতে হবে যে, সে প্রেম করতে রাজি৷
একটা চুম্বন দাও....
অনেক দেশে, সংস্কৃতিতে প্রকাশ্যে চুম্বন করা না গেলেও, প্রেমে চুম্বনের গুরুত্বকে অস্বীকার করা যায় না৷ আজকাল অবশ্য প্রেমহীন চুম্বনও বাড়ছে৷ চুম্বনের প্রতিযোগিতা হয়, সেখানে বিশ্বরেকর্ডও হয়৷ ছবিতে থাইল্যান্ডের এই জুটি রেকর্ড গড়ার কথা মাথায় রেখেই ঠোঁটে ঠোঁট রেখেছিলেন৷ দু-দিনেরও বেশি সময় ধরে চলেছে এই চুমু৷ সেই সুবাদে এখনো তাঁরা দীর্ঘতম চুমুর রিশ্বরেকর্ডের মালিক৷ গিনেস বুকেও নাম আছে তাঁদের৷
নতুন সূচনা
প্রেম আছে, বিরহ-বিচ্ছেদও আছে৷ তবে আগের মতো বিরহ বা বিচ্ছেদের সময় সবার এত দীর্ঘ হয় না৷ পাশ্চাত্যে প্রেমিক বা প্রেমিকা সাধারণত বিচ্ছেদের চার-পাঁচ মাসের মধ্যেই নতুন কাউকে খুঁজতে শুরু করে৷ আমাদের যেমন ঈদ, বইমেলা বা সরস্বতী পুজো, তেমন ইউরোপে নতুন সম্পর্ক শুরুর জন্য বেশিরভাগেরই পছন্দ বড়দিনের সময়টা৷ বিশেষ করে বড়দিনের দু’সপ্তাহ আগের সোমবারটাই বেশিরভাগ তরুণ-তরুণীর পছন্দ৷
এবার ‘সেক্স’ নিয়ে কথা হোক...
প্রেমে শরীরি ভাষার তো গুরুত্ব আছেই৷ তবে সেটা কতটুকু? প্রথম ‘ডেট’ বা প্রথমদিন প্রেম করতে বেরিয়েই কি সেক্স না হলে নয়? পাশ্চাত্যে অনেকে প্রথম ডেট-এ সেক্সকে মোটামুটি অপরিহার্য মনে করলেও, বাস্তবে খুব কম মানুষই বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখেন৷ ‘টাইম আউট’ ম্যাগাজিন বিশ্বের নানা শহরের ১১ হাজার মানুষকে নিয়ে একটা জরিপ চালিয়েছিল৷ সেখানে মাত্র ১০ ভাগ মানুষ প্রথম ডেট-এ সেক্সকে সমর্থন জানিয়েছেন৷
‘লাভ’ আগে-পরে...
আজকাল সরাসরি প্রেম নিবেদনের অনেক আগেই শুরু হয়ে যায় মেসেজ-বিনিময়৷ এমনকি বিয়ে হলেও মেসেজ-বিনিময় চলতে থাকে৷ তবে মেসেজের ভাষাটা যায় বদলে৷ ডেটা সায়েন্টিস্ট এলিস ঝাও নিজেও বিয়ের আগে তাঁর প্রেমিককে নিয়মিত ‘লাভ ইউ’ মেসেজ লিখতেন৷ আর আজকাল সেখানে শুধু ‘হাই’, ‘হ্যালো’, ‘বাসায়’, ‘ওকে’, ‘হ্যাঁ’, ‘না’ – এই জাতীয় শব্দই লিখছেন৷ আসলে এখন তো প্রেমের কথা ঘরে মুখোমুখি বসেই বলা যায়, মেসেজে লেখার কি দরকার!
শিস বাজিয়ে...
মেক্সিকোর কিকাপু উপজাতির পুরুষেরা প্রেম করে শিস বাজিয়ে৷ সত্যিই তাই৷ যাকে পছন্দ তাকে শিস বাজিয়ে ডেকে নেয় প্রেমিক পুরুষ৷ মেয়েটি সাড়া দিলে শুরু হবে কথা৷ তবে সে কথায় একবারও আসবে না, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি৷’ আশপাশে লোকজন থাকলে তো বটেই, না থাকলেও আকার-ইঙ্গিতেই একে-অপরকে বলবে ‘ভালোবাসি’৷