প্রাণীকূলের বিলুপ্তির কারণ খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা
১ অক্টোবর ২০১০গবেষণাটিতে বলা হয়েছে, হারিয়ে যাওয়া এসব প্রাণীদের খুঁজে পেতে বিজ্ঞানীরা অনেক চেষ্টা চালিয়েছেন৷ কিন্তু এতে কেবল সময় নষ্ট হওয়া ছাড়া কোনো লাভ নেই৷ কারণ এসব প্রাণীদের খুঁজে পাওয়ার আর কোনো সম্ভাবনা নেই৷
জাতিসংঘ বলছে, দ্রুতগতিতে হারিয়ে যাচ্ছে অনেক প্রাণী, যা প্রতিবেশ এবং অর্থনীতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷ অষ্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ কুইন্সল্যান্ডের গবেষকরা বলছেন, প্রাণীগুলো কীভাবে বিলুপ্ত হচ্ছে সেই প্রক্রিয়াটির দিকে নজর দেওয়ার মাধ্যমেই কেবল এদেরকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব৷
এই গবেষণার প্রধান গবেষক ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো ডায়না ফিশার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, হারিয়ে যাওয়া এইরকম দু'একটা প্রাণীর খোঁজ পাওয়া গেলেই অতীতে মানুষ অনেক খুশি হতো৷ কিন্তু তাঁরা এর পেছনের বিশাল চিত্রটি, অর্থাৎ হারিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে পারতেননা৷
ডায়না ফিশার এবং তাঁর সহকর্মী সাইমন ব্লোমবার্গ স্তন্যপায়ী বিলুপ্ত প্রাণীদের পুনরায় আবিষ্কারের কিছু তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করেন৷ তাঁরা আবিষ্কার করেন, প্রাণীদের বিচরণের জায়গা হারিয়ে যাওয়া তাদের বিলুপ্তির প্রধান কারণ৷ তার পরেই রয়েছে শিকারী প্রাণীদের আক্রমণ এবং নানা রকম রোগ৷
জীববিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকা ‘প্রসিডিংস অফ দ্য রয়েল সোসাইটি বি'র একটি প্রতিবেদনে তাঁরা বলেছেন, বিংশ শতাব্দীতে যে প্রাণীকূল বিলুপ্ত হয়ে গেছে, তাদের জীবনবৃত্তান্তের দিকে নজর দিলেই এদের হারিয়ে যাওয়ার কারণগুলো সহজেই বেরিয়ে আসবে৷ এখনও আবাসভূমি সংকটের কারণে এ ধরণের প্রাণীকূল হুমকির মধ্যে রয়েছে৷
আগামী মাসে জাতিসংঘ জাপানে একটি বড় ধরণের আলোচনা সভা আয়োজন করতে যাচ্ছে৷ আশা করা হচ্ছে, অংশগ্রহণকারী দেশগুলো একটি ঐক্যমতে আসতে পারবে, যে কীভাবে ২০২০ সালের মধ্যে বিশুদ্ধ বায়ু, পরিষ্কার পানি, ওষুধ ও শস্য সরবরাহের মাধ্যমে উদ্ভিদ ও প্রাণীদের নিরাপদ আবাসস্থলে ব্যবস্থা করে এদেরকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সংগ্রাম করা যায়৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন