প্রাণ বাঁচাতে গোল খেয়ে দুই দলই বাদ!
৩০ অক্টোবর ২০১৪স্বাভাবিক অবস্থায় শাস্তি দিলে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে৷ কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন মৌসুম শেষের টুর্নামেন্ট থেকে তাদের বহিষ্কার করায়, জয়ী দল পিএসস স্লেমানও কোনো প্রতিবাদ করেনি৷ সেমিফাইনালে উঠেও বাদ পড়ায় তারা যেন খুশি!
রবিবার প্রিমিয়ার ডিভিশনের ম্যাচে পিএসআইএস সেমারাং-কে ৩-২ গোলে হারিয়েছিল পিএসস স্লেমান৷ কিন্তু ৩ গোলের একটাও পিএসস স্লেমানের কোনো খেলোয়াড় করেননি৷ পিএসএস স্লেমান যে দুটি গোল খেয়েছে সেগুলোও পিএসআইএস সেমারাংয়ের কেউ করেননি৷ সবই আত্মঘাতী, অর্থাৎ নিজেদের জালে ইচ্ছে করেই বল ঢুকতে দিয়ে গোল হজম করেছে দুই দল৷
ভিডিওতে দেখা গেছে দু'দলের গোলরক্ষকই বল আটকানোর কোনো চেষ্টা করেননি৷ বরং কখনো কখনো বল যেদিকে যাচ্ছে সেদিকে না গিয়ে উল্টো দিকে হেঁটে গোল খাওয়া নিশ্চিত করেছেন তাঁরা৷ পুসামানিয়া বোর্নেও এএফসি নামের একটি ক্লাবের ভয়েই নাকি এমনটি করেছেন তাঁরা৷ ক্লাবটি চালায় সন্ত্রাসীরা৷ কয়েকদিন আগে অন্য এক ক্লাবের কোচের ওপর হামলা চালায় সেই সন্ত্রাসীরা৷ কোচ আর দেরি করেননি, বিমানে উঠে সোজা চলে গেছেন বাড়িতে৷
রবিবারের ম্যাচে পিএসআইএস সেমারাংএবং পিএসস স্লেমানও হারতে চেয়েছিল৷ ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে উঠে সন্ত্রাসীদের হাতে পিটুনি খেতে কে চায়, বলুন! খুব সুন্দর করে নিজে নিজে গোল খেয়ে পিএসস স্লেমান প্রায় হেরেই গিয়েছিল৷ ম্যাচ শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগ পর্যন্ত ২-০ গোলে পিছিয়ে ছিল তারা৷ কিন্তু শেষ তিন মিনিটে নিজেদের জালে তিনবার বিনা বাধায় ঢুকতে দিয়ে ৩-২ গোলে হেরে নিশ্চিন্তে মাঠ ছাড়ে পিএসআইএস সেমারাং৷ এখন অবশ্য পিএসস স্লেমানও নিশ্চিন্ত৷ ইচ্ছে করে গোল খাওয়ার অপরাধে দু'দলকেই বহিষ্কার করায় প্রিমিয়ার ডিভিশন থেকে তারাও তো বাদ৷ সেমিফাইনালে সন্ত্রাসীপুষ্ট দলের বিপক্ষে খেলার আর কোনো প্রয়োজন নেই৷
এসিবি/ডিজি (এএফপি)