1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফ্রান্সে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান

১৮ নভেম্বর ২০১৫

বুধবার ভোরে প্যারিসের উপকণ্ঠে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালিয়েছে৷ এক নারী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে৷ সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আটক করেছে পুলিশ৷ বাড়ছে আন্তর্জাতিক তৎপরতা৷

https://p.dw.com/p/1H7ee
ছবি: Reuters/J. Naegelen

প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার পর ফ্রান্স ও প্রতিবেশী দেশগুলিতে এই হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বিভিন্ন ব্যক্তিকে আটক করতে একাধিক অভিযান চালানো হচ্ছে৷ এর মধ্যে বুধবার ভোরে প্যারিসের উপকণ্ঠে স্যাঁ ডেনি এলাকায় নিরাপত্তার বাহিনীর অভিযানকে ঘিরে আশার আলো দেখা গিয়েছিল৷ প্যারিসে হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী আবদেলহামিদ আবাউদ সেখানে লুকিয়ে রয়েছে বলে পুলিশ সন্দেহ করছিল৷

অভিযানের সময় এক নারী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মহত্যা করে৷ ৩ জনকে ঘটনাস্থলে এবং কাছাকাছি এলাকা থেকে আরও ২ জনকে আটক করা হয়৷ অভিযানের শেষে মৃতের সংখ্যা ২, আটক ৭ ব্যক্তি৷ তবে আবদেলহামিদ আবাউদকে সেখানে পাওয়া গেছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়৷ স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে উগ্রবাদীদের গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন৷ ২ জন পুলিশকর্মী ও ১ জন পথচারী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে৷

প্যারিস হামলার পর ফ্রান্সের চরম দক্ষিণপন্থি ন্যাশানাল ফ্রন্ট দলের নেত্রী মারিন ল্য পেন ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে আরও বিষাদগার শুরু করে দিয়েছেন৷ তাঁর প্রভাব আরও বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস৷

এদিকে মঙ্গলবার রাতে বোমাতঙ্কের কারণে প্যারিসগামী দু'টি যাত্রীবাহী বিমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যানাডায় অবতরণ করতে বাধ্য হয়৷ অবশ্য দুটি বিমানেই তল্লাশি চালিয়ে কোনো বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি৷

ফ্রান্স ও রাশিয়া সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট-এর উপর সামরিক হামলার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সমন্বয় আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ আগামী ২৬শে নভেম্বর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করবেন৷

এর আগে ওলঁদ ২৪শে নভেম্বর ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে আইএস-এর বিরুদ্ধে অভিযানে বৃহত্তর জোট গড়ে তোলার বিষয়ে কথা বলতে চান৷

সংকলন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য