1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
খেলাধুলাফ্রান্স

প্যারিস অলিম্পিকের আগে শত শত অভিবাসীকে সরিয়ে নিচ্ছে পুলিশ

১৮ এপ্রিল ২০২৪

জুলাইয়ে প্যারিসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া অলিম্পিক গেমসের আগে শহরটিতে বসবাসরত অভিবাসীদের সরিয়ে নিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে প্যারিস পুলিশ৷

https://p.dw.com/p/4evLm
প্যারিসের এক অভিবাসী ক্যাম্পে পুলিশের অভিযান
অলিম্পিকের আগে প্যারিসের অভিবাসী ক্যাম্পগুলো ফাঁকা করা হচ্ছেছবি: Luc Auffret/Anadolu/picture alliance

অভিবাসীদের জনসাধারণের দৃষ্টি থেকে সরিয়ে নেয়ার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে শহরের অভিবাসী ক্যাম্পগুলো ফাঁকা করা হচ্ছে৷ 

তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো আশঙ্কা করছে, এতে করে উচ্ছেদকৃতরা আরও প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে৷

বুধবার (১৭ এপ্রিল) অলিম্পিক গেমস শুরু হওয়ার ঠিক ১০০ দিন আগে প্যারিসের পুলিশ শহরের দক্ষিণ উপকণ্ঠের 'ভিট্রি-সুখ-সেইন' এলাকার একটি বড় অভিবাসী ক্যাম্প উচ্ছেদ করেছে৷

একটি পরিত্যক্ত বাস কোম্পানির কার্যালয়ের সামনে খালি জায়গায় স্থাপিত অস্থায়ী ক্যাম্পটিতে প্রায় ৪৫০ জন অভিবাসী ছিলেন৷ যাদের বেশির ভাগই ছিলেন যুবক যুবতী৷ তবে তাদের সঙ্গে কয়েকজন মা ও শিশু ছিলেন বলে জানা গেছে৷

মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে উচ্ছেদকৃত বেশিরভাগ অভিবাসীর থাকার বৈধ অনুমোদন রয়েছে৷ তারা সামাজিক আবাসন প্রকল্পের আওতায় বাড়ি বরাদ্ধের জন্য অপেক্ষা করছিলেন৷

২৬ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত অলিম্পিক গেমসের আগে শহরটিকে ‘পরিষ্কার' করার উদ্দেশে যাদের এখন বের করে দেয়া হচ্ছে, দীর্ঘমেয়াদে তাদের আবাসন খুঁজে পেতে সমস্যায় পড়তে হবে বলে আশঙ্কা করছে সংস্থাগুলো৷   

মানবিক সংগঠন 'মেদিসি দু মোন্দ' এর সদস্য পল আলুজি বলেন,  ‘‘ফ্রান্সে স্কু ছিল সবচেয়ে বড় অভিবাসী ক্যাম্প৷ অলিম্পিকের জন্য গত এক বছরে এর আকার প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে৷ নগর কর্তৃপক্ষ অলিম্পিক ভিলেজের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে অভিবাসীদের সরিয়ে দেয়৷ অনেক গৃহহীন মানুষ এখানে আশ্রয় নেয়৷''

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আরও কয়েক দিন ধরে উচ্ছেদ অভিযান চালু থাকবে৷

বুধবার (১৭ এপ্রিল) প্রায় ৩০০ জনকে জোরপূর্বক সরিয়ে নেয়া হয়৷ আগের রাতে আরও ১৫০ জন অন্যত্র চলে যায়৷ উচ্ছেদকৃতদের অনেককে ফ্রান্সের অন্যান্য শহরে আনার জন্য বাসে তোলা হয়েছিল৷

কিছু গোষ্ঠী উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে,  এই উচ্ছেদ অভিযান স্কু থেকে উৎখাত করা স্কুল পড়ুয়া শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে৷ 

এসএইচ/কেএম