1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোশাক তৈরিতে রাসায়নিক ব্যবহার

রাল্ফ-হাইনরিশ/ এসি৯ জুন ২০১৩

পোশাক তৈরিতে প্রস্তুতকারকরা আগে যে পরিমাণ রাসায়নিক ব্যবহার করতেন, দৃশ্যত এখন আর তা করছেন না, বলে জানিয়েছে গ্রিনপিস পরিবেশ সংগঠন৷

https://p.dw.com/p/18mC4
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan

বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন হাউসরাও আছে ঐ দলে: সারা বিশ্বের নদীগুলোকে বিষাক্ত রাসায়নিকের নালায় পরিণত করার পিছনে তাদের অবদানও কম নয়৷ কিন্তু বহুদিনের আন্দোলনে দৃশ্যত কিছুটা কাজ হয়েছে: বহু ফ্যাশন চেইন তাদের টি-শার্ট বা প্যান্টে রাসায়নিকের অবশিষ্ট কমানোর জন্য উৎপাদনকারীদের উপর চাপ দিচ্ছে – এ কথা জানিয়েছে ‘গ্রিনপিস'

সেই উৎপাদনকারীদের অধিকাংশের বাস বিদেশে৷ সেখানে কিন্তু এই অংশত ক্যানসার সৃষ্টিকারী রাসায়নিকগুলি নির্বিচারে নদীর জলে গিয়ে পড়ছে৷ আবার ‘গার্মেন্টস' হয়ে শো'রুমে পৌঁছনোর পরেও, ক্রেতা সেই পরিধেয় বস্ত্র ধোয়ার সময়েও তা থেকে রাসায়নিকের অবশিষ্ট বেরতে পারে৷

কেউ বাদ নেই

২০১২ সালের গ্রীষ্মে গ্রিনপিস ২৯টি দেশ থেকে আসা ১৪১টি জামাকাপড় ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করায়৷ তার মধ্যে ছিল জিনস, প্যান্ট, ড্রেস, টি-শার্ট ও আন্ডারওয়্যার৷ যে সব ফ্যাশন হাউসের এই সব পণ্য, তারা বস্তুত বিশ্বখ্যাত: আর্মানি, বেনেটন, সিঅ্যান্ডএ, ক্যালভিন ক্লাইন, ডিজেল, এস্প্রি, গ্যাপ, এইচঅ্যান্ডএম, জ্যাকঅ্যান্ডজোনস, লিভাইজ, ম্যাঙ্গো, মিটার্সবনউয়ি, ওনলি, টমি হিলফিগার, ভেরো মোডা, ভিক্টোরিয়া'স সিক্রেট এবং জারা৷

Greenpeace Logo
রাসায়নিকের ব্যবহার আগের চেয়ে কমেছে বলে মনে করছে গ্রিনপিস

প্রত্যেকটি বস্ত্রে রাসায়নিক পাওয়া না গেলেও, প্রতিটি কোম্পানির পণ্যেই রাসায়নিক পাওয়া গিয়েছে – জানিয়েছে গ্রিনপিস৷ তার মধ্যে একটি, যার নাম অ্যালকুইলফেনল এথক্সিলেট বা অ্যাপিও নদী-নালায় পড়লে মাছেদের পক্ষে বিপজ্জনক একটি পদার্থ সৃষ্টি করে – এবং এই তথ্যটি অন্তত বিগত ৩০ বছর যাবৎ সর্বজনবিদিত৷ কাজেই ক্ষতিটা শুধু মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, পরিবেশের জন্যও বটে৷

এছাড়া এসব রাসায়নিক মূলত সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়ভাবে প্রয়োগ করা হয়৷ এবং সেই প্রয়োগ ঘটে দূরদেশে, যেখানে বড় বড় আন্তর্জাতিক ফ্যাশন হাউসগুলির নজর কিংবা নজরদারি, দু'টোর কোনোটাই খুব কার্যকরিভাবে পৌঁছয় না৷ বিশেষ করে এইচঅ্যান্ডএম কিংবা জারা-র মতো ফাস্ট ফ্যাশন সংস্থাগুলির নীতিই হল কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নতুন ট্রেন্ড থেকে নতুন ফ্যাশন বানিয়ে ফেলা৷ ঐ স্বল্পসময়ের মধ্যে কোথায়, পৃথিবীর কোন প্রান্তে কোন সাপ্লায়ার কোন রাসায়নিক ব্যবহার করছে, তার হিসেব রাখা সম্ভব নয়৷

আসলে সাপ্লায়ারের এই ভয়টা থাকা চাই যে, সে তার কনট্র্যাক্ট হারাতে পারে৷ মোটরগাড়ি শিল্পে গাড়ির সিটের কভার ইত্যাদিতে রাসায়নিক নিয়ে ঠিক এরকম একটি পরিস্থিতির উদ্ভাবন হয়েছিল৷ ফোর্ড গাড়ির সিট কভারে ঐ অ্যাপিও পাওয়া যায়৷ ফোর্ড তারপর সাপ্লায়ারদের হুমকি দিয়ে অ্যাপিও-র ব্যবহার বন্ধ করে৷

এবার বাকি বিশ্বেও ঠিক ঐ পন্থা অবলম্বন করা হোক, এই হলো গ্রিনপিসের বক্তব্য৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য