1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারে পোপ ফ্রান্সিস

২৭ নভেম্বর ২০১৭

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে যখন টানাপোড়েন চলছে, ঠিক সেসময় মিয়ানমার সফর করছেন পোপ ফ্রান্সিস৷ সফরে দেশটির সেনাপ্রধান ও বেসামরিক নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে তাঁর৷

https://p.dw.com/p/2oK1P
ছবি: Reuters/M. Rossi

পোপ ফ্রান্সিস এমন সময় মিয়ানমার সফর করছেন যখন দেশটির সেনাবাহিনী এবং বৌদ্ধ কট্টরপন্থিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে রোহিঙ্গাদের ‘জাতিগত নিধনের’৷ সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ, ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে সেনাবাহিনী মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে বলে অভিযোগ এনেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো৷ আগস্টের শেষ দিকে সেনাবাহিনীর অভিযানের পর দেশ ছেড়ে পালিয়েছে ৬ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ৷ তারা আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে৷ অনেকেই আশা করছেন এই সফরে সব সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তির বাণী ছড়িয়ে ঐক্যের ডাক দেবেন পোপ ফ্রান্সিস৷

পোপ তাঁর বক্তব্যে রোহিঙ্গাদের ‘রোহিঙ্গা’, ‘বাঙালি মুসলমান’ নাকি ‘অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী’ বলে সম্বোধন করেন, সেটার দিকেও তাকিয়ে আছেন অনেকে৷ মিয়ানমারের আর্চবিশপ পোপকে এই ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছিলেন রোম সফরের সময়৷ মিয়ানমারের সরকার এবং সেনাবাহিনী দেশটির রাখাইন অঞ্চলে অবস্থানরত সংখ্যালঘু মুসলমানদের ‘রোহিঙ্গা’ বলতে রাজি নন৷ পোপ ফ্রান্সিস দেশটির বেসামরিক নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে দেখা করবেন৷ এছাড়া সেনা প্রধান মিন অং লাইং-এর সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে তাঁর৷

মিয়ানমারে ৫ কোটি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে ৭ লাখ ক্যাথলিক খ্রিষ্টান, সংখ্যালঘু হিসেবে তাদের মনেও আতঙ্ক বিরাজ করছে৷ মিয়ানমার সম্পর্কিত রাজনৈতিক বিশ্লেষক রিচার্ড হোর্সে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘‘মিয়ানমারের অধিকাংশ মানুষ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের কথা বিশ্বাস করে না এবং তারা এটাও বিশ্বাস করে না যে বাংলাদেশে এত সংখ্যক রোহিঙ্গা পালিয়ে গেছে৷ যদি পোপ এখানে এসে এই প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তাহলে এখানকার সংকটকে তা আরও উসকে দেবে, এছাড়া জনমনে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে৷’’

পোপ ফ্রান্সিস আগামী বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সফর করবেন৷ রাজধানী ঢাকায় তিনি কয়েকজন রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানা গেছে৷ বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে ৪৫ বছরের রোহিঙ্গা ইমাম নূর মোহাম্মদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমার আশা পোপ মিয়ানমার সরকারকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানাবেন এবং আমাদের নাগরিকত্ব দেয়া ও আমাদের প্রতি সব ধরনের বৈষম্য দূর করার আহ্বান জানাবেন তিনি৷’’

আগস্টে দেয়া এক বক্তব্যে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিলেন পোপ৷ পাশাপাশি সব সম্প্রদায়কে সমান অধিকার দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন মিয়ানমার সরকারের প্রতি৷

পোপের এই সফরের মূল প্রতিপাদ্য ‘শান্তি এবং ভালোবাসা’৷ সেই লক্ষ্যেই পোপ মিয়ানমারের সব সম্প্রদায়ের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের ডাক দেবেন বলে আশা করছেন মিয়ানমারের আর্চ বিশপ৷ বুধবার একটি পাবলিক মাস এর আয়োজন করা হয়েছে ইয়াঙ্গনে৷

 এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)