1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পৃথিবীর নরক গুয়ানতানামো বে বন্দিশালা

২৪ ডিসেম্বর ২০০৯

আট বছর পর গুয়ানতানামো বে মার্কিন বন্দি শিবির থেকে ফিরে এক সোমালি জানালেন, গুয়ানতানামো বে বন্দিশালাটি হচ্ছে পৃথিবীর নরক৷ নির্যাতনের মাত্রায় এখনও ভয়ে ভীত সেখানকার অনেক বন্দি৷

https://p.dw.com/p/LD5K
ফাইল ফটোছবি: dpa

গত শনিবার মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরে আসেন সোমালি নাগরিক মোহাম্মদ সালেবিন বারে৷ ২০০১ সালে তাকে আটক করা হয় পাকিস্তান থেকে৷ তারপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় আফগানিস্তানে, সেখান থেকে তাকে নিয়ে আসা হয় এই বন্দি শিবিরে৷ অবশ্য এই আট বছরেরও সালেবিন বারের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দাঁড় করাতে পারেনি মার্কিন কর্তৃপক্ষ৷ তাকে আফগানিস্তানে রাখা হয়েছিল কান্দাহার এবং বাগরাম মার্কিন বন্দি শিবিরে৷

সালেবিন বারের দাবি, এই দুই বন্দি শিবিরেরও অবস্থা খারাপ ছিল, কিন্তু গুয়ানতানামো বন্দি শিবিরে এনে তাদের উপর অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে কথা আদায়ের জন্য৷ বারে জানিয়েছেন, সেখানে এমন এক বিশেষ পদ্ধতিতে নির্যাতন চালানো হতো, যার ফলাফল হচ্ছে মানসিক ভাবে মেরে ফেলা৷ দিনের পর দিন তাদের ঘুমাতে দেয়া হয়নি৷ সারা দিনে খাবার ছিল হয়তো একটি মাত্র বিস্কিট৷ শীতের সময়ে প্রচন্ড ঠান্ডায় জুটতো না একটিও কম্বল৷ নির্যাতনের সময় বৈদ্যুতিক শকও দেয়া হতো৷ সেখানে মানবাধিকার বলে কোন শব্দ নেই, বলেছেন সালেবিন বারে৷

সোমবার নিজ শহর হারগিসায় বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই সব কথা বলেন৷ তিনি বলেন, আমি এখনো স্বাভাবিক বোধ করছি না৷ কিন্তু আল্লাহকে ধন্যবাদ জানাই যে তিনি আমাকে জীবিত এবং মুক্ত অবস্থায় ফিরে এনেছেন৷

খুবই ছোট্ট করে কাটা চুল এবং মুখে বড় দাড়ি৷৪৪ বছর বয়স্ক সালেবিন বারে জানালেন, তার শারিরীক অবস্থা ভালো, তবে তিনি খুবই ক্লান্ত৷

এই মার্কিন বন্দি শিবির থেকে এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে৷ সালেবিন বারে এদের একজন৷ গুয়ানতানামো বে বন্দি শিবির থেকে তাকে মুক্তি দিয়ে তুলে দেওয়া হয়েছিল আন্তর্জাতিক রেডক্রসের হাতে৷ তারাই সালেবিন বারেকে পৌঁছে দেন নিজ শহরে৷

সালেবিন বারের সঙ্গে আরেক সোমালিকে মুক্তি দেয়া হয় তার নাম ওসমানি মোহাম্মদ আরলে৷ সালেবিন বারে জানান, বন্দি শিবিরে তার সঙ্গে থাকা বেশ কয়েকজন বন্দি নির্যাতনে তাদের দৃষ্টি শক্তি হারিয়েছেন, কেউ হারিয়েছেন তাদের হাত বা পা, কেউ কেউ হয়েছেন মানসিক ভাবে প্রতিবন্ধী৷ তবে তাদের তুলনায় আমি অনেকটা ভালো আছি, জানালেন সালেবিন বারে৷

প্রতিবেদক: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক