1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাশিয়ার পুটিন

১ জুন ২০১২

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন আজ শুক্রবার জার্মানি আসছেন৷ কিন্তু এখনই বোঝা যাচ্ছে, তিনি ভবিষ্যতে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের প্রতি বেশি মনোযোগ দেবেন৷

https://p.dw.com/p/155vf
ছবি: AP

ভ্লাদিমির পুটিন নতুন করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হবার পর জার্মানি আসছেন বটে, কিন্তু এটা ভাবার কোনো কারণ নেই যে, তিনি তাঁর পূর্বসূরি মেদভেদেভ, কিংবা ২০০৮ সালের আগে তাঁর নিজেরই পররাষ্ট্রনীতিতে প্রত্যাবর্তন করবেন৷ ক্রেমলিনের নতুন হর্তাকর্তার জন্য পশ্চিমা বিশ্ব এবং সেই সঙ্গে ইউরোপের তাৎপর্য আগামীতে হ্রাস পাবে৷

তবে রুশ অর্থনীতির জন্য ইউরোপ এবং বিশেষ করে জার্মানির একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা বজায় থাকবে৷ হাজার হোক ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সহযোগী৷ কাজেই পুটিন পয়লা জুন শুধু জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলই নন, নতুন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ'এর সঙ্গেও মিলিত হচ্ছেন৷ এরপর ৩রা ও ৪ঠা জুন থাকছে সেন্ট পিটার্সবার্গে ইউ-রাশিয়া শীর্ষবৈঠক৷

পুটিনের কাছে ইউরোপের যে এখনও গুরুত্ব আছে, এ' সব সাক্ষাৎ তার প্রমাণ৷ অপরদিকে পুটিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে বিশেষ উচ্চধারণা পোষণ করেন না৷ সাম্প্রতিক জি-এইট শীর্ষ বৈঠকে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা'র সঙ্গে মিলিত হবার সুযোগ ছিল, কিন্তু পুটিন তা কিছুটা অসৌজন্যের সঙ্গেই বৈঠকের স্বল্পকাল আগে বাতিল করেছেন৷ পুটিনের অসন্তোষের কারণ হল, ওবামা ইউরোপে ন্যাটোর রকেট প্রতিরক্ষা প্রণালী স্থাপনের পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা করছেন, যদিও রাশিয়া তার বিরোধী৷ এছাড়া পুটিন জানেন যে, ওবামা এখন নির্বাচনী প্রচার যুদ্ধে ব্যাপৃত এবং রাশিয়ার সঙ্গে প্রয়োজনীয় আপোশের জন্য ওবামার হাতে আর পর্যাপ্ত সময় নেই৷ কাজেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অবধি রুশ-মার্কিন সম্পর্কে ‘টাইম আউট' চলবে৷

Putin und Merkel in Berlin
পুটিন ও ম্যার্কেলছবি: AP

তবে সেটাকে শুধু কূটনীতির চাল হিসেবে গণ্য করলে ভুল হবে৷ পুটিন পশ্চিমের থেকে রাশিয়ার দূরত্ব বাড়াতে চান৷ এবং সেটা শুধু এই কারণে নয় যে, রাশিয়ার কর্তৃত্বপূর্ণ সরকারব্যবস্থা এবং পুটিনের শাসনে গণতন্ত্রের ঘাটতির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ থেকে বারংবার সমালোচনা ধ্বনিত হয়েছে৷ বরং প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রজাতন্ত্রগুলির মধ্যে নতুন জোট সৃষ্টির চেষ্টা চলেছে এবং সেই সঙ্গে চীনও রুশ পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হচ্ছে৷

সোভিয়েত-পরবর্তী এলাকায় একটি নয়া ইউরেশীয় ইউনিয়ন নিয়ে পুটিন বিগত কয়েক মাস ধরে কথা বলেছেন৷ রাশিয়া ছাড়া শুধুমাত্র বেলারুস ও কাজাখস্তান এ'যাবৎ এই ইউনিয়নের সদস্য৷ তবে বিষয়টি যে রুশ পররাষ্ট্রনীতিতে অগ্রাধিকার পাচ্ছে, তার প্রমাণ: পুটিন সরকারগঠনে ব্যস্ত ছিলেন বলে জি-এইট বৈঠকে যেতে পারছেন না, এই ছিল সরকারি ভাষ্য৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি ঠিক ঐ সময়েই কিরঘিজস্তান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, কাজাকস্তান, বেলারুস এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে তথাকথিত সিআইএস বা স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহের কমনওয়েল্থ সংগঠনের একটি বিধিবর্জিত শীর্ষবৈঠক আয়োজন করার সময় পান৷

আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংকটের ফলে ইইউ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যতোই বিব্রত হচ্ছে, মস্কোর পররাষ্ট্রনীতিতে চীনের গুরুত্ব ঠিক সেই পরিমাণে বাড়ছে৷ এ'যাত্রায় ইউরোপ সেরে ভ্লাদিমির পুটিন উজবেকিস্তান হয়ে সোজা চীন যাত্রা করছেন৷

প্রতিবেদন: ইঙ্গো মানটয়ফেল/অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য