পিয়ংইয়ংয়ের বাস স্টপগুলো দেখার মতো
উত্তর কোরিয়ার মতো দেশের রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের বাস স্টপগুলো দেখতে কেমন? জানতে চোখ রাখুন ছবিঘরে৷
নিয়ম মেনে ছবি তোলা
উত্তর কোরিয়ায় কর্মরত বিদেশি সাংবাদিক ও আলোকচিত্রীদের বিশেষ নিয়ম মেনে চলতে হয়৷ তাঁরা কাদের ও কিসের ছবি তুলতে পারবেন, কার সঙ্গে কী বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারবেন, সেই নিয়ম ঠিক করে দেয়া আছে৷ সেই নিয়ম মেনেই এএফপির এক আলোকচিত্রী পিয়ংইয়ংয়ের বাস স্টপগুলোর ছবি তুলেছেন৷
বিজ্ঞাপন নেই
বাস স্টপ মানেই বিজ্ঞাপনের ছড়াছড়ি৷ এই পণ্য, সেই পণ্য কিনতে মানুষকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা৷ কিন্তু পিয়ংইয়ংয়ের স্টপগুলোতে বিজ্ঞাপন নেই৷ তার পরিবর্তে আছে মানুষের মনকে ভালো করে দেয়ার মতো ছবি৷
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর...
এই স্টপে দেখতে পাচ্ছেন সূর্য ডোবার আগ মুহূর্তের ছবি৷ সঙ্গে আছে পাথরের সঙ্গে পানির ধাক্কা খেয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ার মনোরম দৃশ্যও৷ এছাড়া পাহাড়-পর্বত, বাঁধ, সিটি সেন্টার, উপকূল ও কৃষিজমির ল্যান্ডস্কেপ - এসবের ছবিও অপেক্ষারত যাত্রীদের মন ভরিয়ে দেয়৷
নেই প্রোপাগান্ডা বার্তা
উত্তর কোরিয়া মানেই সরকারি প্রোপাগান্ডার ছড়াছড়ি৷ শহরের বিভিন্ন জায়গায় তার অস্তিত্ব দেখা গেলেও বাস স্টপগুলো তা থেকে মুক্ত৷
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন
এএফপির আলোকচিত্রীর তোলা ছবিগুলো পরপর দেখলে বোঝা যায়, পিয়ংইয়ংয়ের বাস স্টপগুলো মোটামুটি পরিচ্ছন্ন৷
চলাচলের জনপ্রিয় বাহন
পিয়ংইয়ংয়ে প্রায় ত্রিশ লক্ষ মানুষের বাস৷ সেখানে মানুষের ব্যক্তিগত গাড়ি থাকার ঘটনা বিরল৷ ট্যাক্সির সংখ্যাও বেশ নগণ্য৷ ফলে শহরের বেশিরভাগ মানুষের যাতায়াতের অন্যতম ভরসা বাস৷
অল্প খরচ
শহরের বাস নেটওয়ার্ক বেশ বড়৷ আর ভাড়াও বেশ কম৷ পাঁচ ওন৷ অর্থাৎ ৪৫ বাংলাদেশি পয়সা৷ বলা যায়, প্রায় বিনামূল্যেই বাসে চড়া যায়৷
বাসেই দিনের পরিকল্পনা
একজন যাত্রী জানান, তিনি বাসে বসে সারা দিনের পরিকল্পনা করেন৷ এমন পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য তিনি দেশটির প্রতিষ্ঠাতা জনক কিম ইল-সুং ও তাঁর পরবর্তী প্রজন্মের নেতাদের প্রশংসা করেছেন৷
মহান নেতার প্রশংসা
সিন হায়-ইয়ং নামের ঐ যাত্রী বলেন, ‘‘আপনি যখন কাজে যাওয়া-আসার সময় বাস ব্যবহার করেন, তখন আপনি আমাদের মহান নেতাদের উষ্ণ ভালবাসা অনুভব করবেন৷’’