1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাহাড় ধস

৩০ জুন ২০১২

চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের অন্যতম কারণ পাহাড় কেটে ফেলা৷ আর এর সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালীরা৷ তারা কেউ ইট ভাটা করেন৷ আবার কেউবা গড়ে তোলেন নানা প্রতিষ্ঠান৷

https://p.dw.com/p/15Oi8
Fire fighters spray water to loosen the soil during a rescue operation following a landslide in Chittagong June 27, 2012. Days of rain in Bangladesh, some of the heaviest in years, have set off flash floods and landslides, killing at least 70 people and stranding about 200,000, police and officials said on Wednesday. REUTERS/Stringer (BANGLADESH - Tags: DISASTER)
ছবি: REUTERS

আর সেইসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে গিয়েই নিম্নবিত্ত মানুষ পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করেন৷ প্রতি বছর শিকার হন পাহাড় ধসের৷ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যুরোর মহাপরিচালক আহসান জাকির ডয়চে ভলেকে জানান আইন করেও এসব বন্ধ করা যায় না৷

চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে শতাধিক মানুষ মারা যাওয়ার পরও এখনো অনেকেই পাহাড়ের পাদদেশেই বসবাস করেন৷ তাদের একটিই কথা তাদের যাওয়ার কোন জায়গা নেই ৷ সব হারিয়ে তারা পাহাড়ের পাদদেশেই আশ্রয় নিয়েছেন৷

আবার কেউ কেউ কাজ করতে গিয়েই ঝুঁকিপূর্ণ আবাস বেছে নিয়েছেন৷ বিশেষ করে পাহাড় কেটে ইট ভাটা তৈরি করায় অনেক মানুষের কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে৷ তারা ইট ভাটায় কাজ করেন৷ আর পাহাড়ের পাদদেশে ঘর বানিয়ে থাকেন৷

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যুরোর মহাপরিচালক আহসান জাকির ডয়চে ভলেকে জানান, এই পরিস্থিতির জন্য নিম্নবিত্ত মানুষ দায়ী নয়৷ দায়ী যারা পাহাড় কাটেন সেই প্রভাবশালীরা৷ আর যারা এখানে বসবাস করেন তারা বাধ্য হয়েই বসবাস করেন৷ অনেক চেষ্টা করেও তাদের সরানো যায় না৷

তিনি জানান, আইন করেও কাজ হয় না৷ দেশে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে আইন আছে কিন্তু তারপরও থামানো যাচ্ছে না৷ পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসে নিষেধাজ্ঞা আছে তারপরও মানুষ পাহাড়ের পাদদেশে থাকছেন৷ তাই আইনের পাশাপাশি প্রয়োজন সচেতনতা৷

তিনি জানান, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে৷ আর আইন প্রয়োগ করা হবে আরো কড়াকড়িভাবে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য