1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানে সাংবাদিকতা

৩ এপ্রিল ২০১৭

পাকিস্তানে ইলেকট্রনিক মিডিয়া বেড়ে চলেছে দুর্ধর্ষ গতিতে, কিন্তু সে তুলনায় সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ সীমিতই থেকে যাচ্ছে – কেননা কর্তৃপক্ষ মনিটরিং-এর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখেননি৷

https://p.dw.com/p/2aYtM
ছবি: ASIF HASSAN/AFP/Getty Images

সদ্য খোঁড়া কবরের ভিতর শুয়ে রিপোর্টিং, বা পাবলিক পার্কে প্রেমিক-প্রেমিকাদের উপর পুলিশি হামলা, পাকিস্তানি টেলিভিশনে প্রায় সব কিছুই দেখানো যেতে পারে৷ তার ফলে যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠে, তা-তেও কোনো আপত্তি নেই, বিশেষ করে যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীরব থাকেন৷

মিডিয়ার আউটপুট মনিটর করার দায়িত্ব পাকিস্তান ইলেকট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটি ‘পেমরা'-র হাতে৷ তা সত্ত্বেও পাকিস্তানের দ্রুত বিকাশশীল ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকতার মান নিয়ে উদ্বেগ অনেকদিনের৷

নিম্নমানের প্রশিক্ষণ

বিগত ১৭ বছরে পাকিস্তানের মিডিয়া সেক্টরের দ্রুত সম্প্রসারণই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী, বলে অনেকে মনে করেন৷ ২০০০ সাল অবধি পাকিস্তানের একমাত্র মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ছিল পাকিস্তান টেলিভিশন নেটওয়ার্ক বা পিটিভি; যাবতীয় খবর ও মনোরঞ্জনমূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হতো এই পিটিভি থেকে৷ এক্ষেত্রে পরিবর্তন আনেন এক সামরিক একনায়ক: পারভেজ মুশাররফ৷

বিরাট পরিবর্তন: পেমরা-র বিবৃতি অনুযায়ী পাকিস্তানে আজ স্থানীয় অপারেটরদের হাতে ৮৯টি চ্যানেলের লাইসেন্স আছে; এছাড়া ২৩টি বিদেশি কোম্পানিকে পাকিস্তানে অনুষ্ঠান সম্প্রচারের অধিকার দেওয়া হয়েছে৷ সেন্টার ফর এক্সেলেন্স ইন জার্নালিজম-এর পরিচালক ও সাংবাদিক কামাল সিদ্দিকি মনে করেন যে, মিডিয়া শিল্পে তেজীর কারণেই সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণে ঘাটতির সৃষ্টি হয়েছে – যেহেতু সাংবাদিকতার মানের চেয়ে রেটিং-কেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে৷

সাংবাদিকতার নিম্ন মানের জন্য রেটিং-এর প্রতি আসক্তিকে দোষী করা চলে না
সাংবাদিকতার নিম্ন মানের জন্য রেটিং-এর প্রতি আসক্তিকে দোষী করা চলে নাছবি: Reuters/ARY

অপরদিকে মিডিয়া সংস্থা এক্সপ্রেস গ্রুপের প্ল্যানিং ও স্ট্র্যাটেজি পরিচালক কামরান ওয়াজিহ মনে করেন যে, সাংবাদিকতার নিম্ন মানের জন্য রেটিং-এর প্রতি আসক্তিকে দোষী করা চলে না৷ ‘‘রেটিং হলো সেই বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত মুদ্রা, যা বিনিয়োগের উপর মুনাফা এনে দেয়'', ডয়চে ভেলেকে বলেন ওয়াজিহ৷

কোয়ালিটি কন্ট্রোল

তবে রেটিং-এর খোঁজে সাংবাদিকতার নৈতিক বাধাবাঁধন ঢিলে হয়ে যেতে পারে৷ ২০১৬ সালে দানী আব্দুল সাত্তার এধি-র মৃত্যুর পর একাধিক নিউজ আউটলেট যেভাবে তাদের রিপোর্টিং করেছে, তা বিপুল সমালোচনার সম্মুখীন হয়৷ এমনকি এক অত্যুৎসাহী রিপোর্টার কবরের জন্য খোঁড়া গর্তের মধ্যে ঢুকে সেখান থেকে লাইভ রিপোর্টিং করার সিদ্ধান্ত নেন৷

২০১৪ সালে করাচি বিমানবন্দরে একটি অবরোধ চলাকালীন সেনাবাহিনীর অভিযান সংক্রান্ত রিপোর্টিং-এ যেভাবে সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলির বিরুদ্ধে সহিংসতার প্ররোচনা দেওয়া হয়, তাও স্মরণ করা যেতে পারে৷ ওয়াজিহ মনে করেন যে, পেমরা-র তরফ থেকে দুর্বল মনিটরিং-এর কারণেই এভাবে সাংবাদিকতার নীতিমালা লঙ্ঘন করা সম্ভব হয়েছে৷

এছাড়া যেহেতু পাকিস্তানের অধিকাংশ মিডিয়া গ্রুপ কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত, সেহেতু অতীতে পেমরার-র অধিকাংশ পদক্ষেপই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ছিল এবং আগামীতেও থাকবে, বলে সিদ্দিকির আশঙ্কা৷

আসিম সালিম/এসি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য