বিমান দুর্ঘটনা
২২ এপ্রিল ২০১২অবতরণকালে দুর্ঘটনা
বেসরকারি বিমান সংস্থা ভোজা এয়ারের বোয়িং ৭৩৭-২০০ বিমানটি এই দুর্ঘটনায় পড়ে শুক্রবার সন্ধার দিকে৷ করাচি থেকে বিমানটি ইসলামাবাদের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো৷ এই সময় প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছিলো৷ ইসলামাবাদের বিমানবন্দরের কাছে আসার পর বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে৷ পাইলটের ভুলের কারণে সেটি গিয়ে পড়ে শহর উপকন্ঠের একটি গ্রামের মাঠে৷ মুহূর্তেই গোটা বিমানটি টুকরো টুকরো হয়ে যায়৷ বিমানে থাকা ১২১ জন যাত্রী এবং ছয়জন ক্রু'র সকলেই প্রাণ হারিয়েছে৷ এদের মধ্যে ১১টি বাচ্চাও রয়েছে বলে জানা গেছে৷ উল্লেখ্য, ২০১০ সালের জুলাই-এ ইসলামাবাদে আরেক বিমান দুর্ঘটনায় ১৫২ জন প্রাণ হারিয়েছিলো৷
পারস্পরিক দোষারোপ
দুর্ঘটনার কারণ জানানোর জন্য ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষ৷ এছাড়া ভোজা এয়ারলাইনের প্রধান ফারুক ভোজার ওপর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারির কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রেহমান মালিক৷ তবে এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষ এবং ভোজা এয়ারলাইনের কাছ থেকে দুই ধরণের বক্তব্য পাওয়া গেছে৷ পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষ বলছে, ৩০ বছরের পুরনো ও সেকেন্ড হ্যান্ড বিমান দিয়ে এই উড়াল পরিচালনা করছিলো ভোজা এয়ারলাইন৷ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এর দায় ভোজা এয়ারলাইনের ওপর চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে৷ তবে মালিক পক্ষ বলছে, পুরনো বিমান নয় বরং বিরূপ আবহাওয়া বিমান দুর্ঘটনার কারণ৷ ভোজা এয়ারের কর্মকর্তা মাশাম জাফর বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, পাকিস্তানের সরকারি এয়ারলাইন্সও পুরনো বিমান দিয়ে উড়াল পরিচালনা করে৷ তাই কারিগরী ত্রুটি নয় বিরূপ আবহাওয়াকে দোষ দেওয়া উচিত৷
লাশ ফেরত
এদিকে নিহতদের লাশ ফেরত দেওয়া শুরু হয়েছে৷ পাকিস্তান ইন্সটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স এর নির্বাহী পরিচালক মেহমোদ জামালের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, তারা ১১৫ জনের মৃতদেহ শনাক্ত করতে পেরেছে৷ এর মধ্যে ১১২ জনের লাশ পরিবার ও স্বজনদের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে৷ মেহমোদ জামাল জানান, কোন মৃতদেহই অখণ্ড অবস্থায় পাওয়া যায়নি৷ এদিকে লাশ হস্তান্তরের সময় নিহতদের স্বজনদের আহাজারিতে শোকের আবহ তৈরি হয়৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম, (এএফপি, ডিপিএ)
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী