পশ্চিমবঙ্গে ফরাসি সাম্রাজ্যের স্মৃতিচিহ্ন
২৫০ বছর ফরাসি সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চন্দননগর৷ সপ্তদশ শতকে ফরাসিদের আগমন৷ ১৯৪৯-এর ১৯ জুন ব্রেক্সিটের মতো গণভোটে ভারতে যুক্ত হওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছিল চন্দননগরের জনতা৷ চলুন দেখে সেখানকার কিছু ছবি৷
প্রাচীনতম স্থাপত্য
চন্দননগরের সবচেয়ে প্রাচীন পুরাকীর্তির মধ্যে এখনো দাঁড়িয়ে আছে এই গির্জা৷ ১৭২০ সালে রোমান ক্যাথলিক মিশনারিরা এটি নির্মাণ করেন৷ এখন অবস্থান সেন্ট জোসেফ কনভেন্টের চত্বরে৷
ফরাসি শিক্ষার প্রতিষ্ঠান
ফরাসি গভর্নর জোসেফ ডুপ্লের (১৬৯৬) বাসস্থান৷ যদিও আজকের ফ্রেঞ্চ ইনস্টিটিউট ১৮১৪ সালে পুনর্গঠিত হয়৷ সাবেক ফরাসডাঙার ‘মিসিং লিঙ্ক’৷ ফরাসি ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র৷
গঙ্গার তীরে জোড়াঘাট
একসময়ের ফরাসি জেটি৷ ১৮৪১ সালে ফরাসিদের দ্বারা নির্মিত৷ নয়নাভিরাম চন্দননগর স্ট্র্যান্ডের শোভা এই ঘাটের দুটি সিঁড়ি৷
ফরাসি ফলকে ইতিহাস
চন্দননগরের অনেক স্থাপত্যের গায়ে এখনও রয়েছে ফরাসি ভাষায় উৎকীর্ণ ফলক৷ জোড়াঘাটের এই ফলক ইতিহাসের সাক্ষী৷
থমকে আছে সময়
ফরাসির সঙ্গে অন্যান্য ইউরোপীয় রীতির অনুসরনে তৈরি হয়েছে অনেক স্থাপত্য৷ ১৮৪৫ সালে ফরাসি আমলে তৈরি ঘড়িঘর তারই নমুনা৷ সেই যুগ থেকেই এখানে রয়েছে সংশোধনাগার৷
ফরাসিদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
‘সেন্ট জোসেফ কনভেন্ট ফর গার্লস’ অতি প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷ খ্রিস্টান মিশনারিরা ১৮৬১ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন৷ প্রতীকে উৎকীর্ণ ফরাসিলিপি৷
পবিত্র হৃদয় গির্জা
সাবেক ফরাসডাঙার শ্রেষ্ঠ পুরাকীর্তির অন্যতম৷ ১৮৭৫ সালে এই রোমান ক্যাথলিক গির্জার নির্মাণ শুরু হয়৷
নজরকাড়া স্থাপত্য
স্ট্র্যান্ডরোডের ধারে লাল রঙের বাড়িটা নজর কাড়ে৷ ফরাসি সাম্রাজ্যের চিহ্ন এখনও তার শীর্ষে৷ এক সময়ের ‘হোটেল দ্য প্যারিস’ আজকের চন্দননগর মহকুমা আদালত, নির্মাণকাল ১৮৭৮৷
অতীতের সাক্ষী
শহর জুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে অনেক প্রাচীন বাড়ি৷ এর সিংহভাগই ব্যক্তিগত মালিকানাধীন৷ শ্রীদুর্গা ছবিঘরের কাছে এই বাড়িটির স্থাপত্যরীতি স্তম্ভিত করে, ভগ্নদশা দুঃখ জাগায়৷
সভ্যতার কবলে ইতিহাস
নগরায়নের চাপে ভাঙা পড়ছে পুরনো বাড়ি৷ মুছে যাচ্ছে ফরাসি আমলের অনেক চিহ্ন৷ বড়বাজারের এই বাড়িটি চাপা পড়েছে সভ্যতার বি্জয়রথে৷
ডুপ্লে সাহেবের কলেজ
১৮৬২ সালে সেন্ট মেরিস ইনস্টিটিউশন নামে প্রতিষ্ঠা৷ এক সময় নাম ছিল ডুপ্লে কলেজ৷ একাধিকবার নাম বদলে আজকের চন্দননগর কলেজ ফরাসি অতীতের উত্তরসূরি৷
স্বাধীনতার তোরণ
ভদ্রেশ্বর ও চুঁচুড়ার দিক থেকে চন্দননগরে ঢোকার মুখে দুটি তোরণ তৈরি করেছিল ফরাসিরা৷ দক্ষিণের এই তোরণ তৈরি হয় ১৯৩৭ সালে৷ জি টি রোডের উপর স্বাধীনতা ও সৌভ্রাতৃত্বের ফরাসি বাণী৷
অতীত কথা কও
চন্দননগরের ফরাসি ঐতিহ্যকে সযত্নে রক্ষাও করছেন অনেকে৷ বারাসাতের এই বাড়ি তারই প্রমাণ৷