1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পর্নো সিনেমা দেখিয়ে বছরে আয় ৩০ লাখ রুপি!

৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০

সফ্ট বা হালকা পর্নো নাকি বেশ ভালোই বিকাচ্ছে বাজারে৷ আর তাই এমন আর্থিক মন্দার দিনেও সিনেমা হলের গেটে পর্নো দেখতে সাধারণের ভিড়৷ ভারতের দৈনিক টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, পুনে শহরে বছরে পর্নো দেখিয়ে আয় হয় ৩০ লাখ রুপি৷

https://p.dw.com/p/Lwfh
ফাইল ফটোছবি: VIVIDALT

১৯৮০ সালে পুনের ৮টি সিনেমা হলে দেখানো শুরু হয় পর্নো সিনেমা৷ সেখান থেকে এখন পুনেতে এধরণের সিনেমা হলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র ২টিতে৷ অবশ্য, প্রতিদ্বন্দ্বিতা কমে যাওয়ায় ব্যবসা বেড়েছে নাকি এই হল দুটোর৷ টাইমস অফ ইন্ডিয়ার ভাষায়, এই দুই সিনেমা হল পুনেকে মহারাষ্ট্রের সফ্ট পর্নোর রাজধানীতে পরিণত করেছে৷

পুনেতে বছরে ১০০টির মতো এধরণের সিনেমা প্রকাশ করা হয়৷ একেকটি ছবি নাকি চলেও সপ্তাহখানেক ধরে৷ ভারতের অস্টম বৃহত্তম শহরটিতে এধরনের সিনেমার একেকটি শো দেখতে খরচ ৩০ থেকে ৩৫ রুপি৷

স্বভাবতই প্রশ্ন, পুনেতে কারা দেখছে এতো পর্নো? এটাকি আদৌ কোন বৈধ বাণিজ্য নাকি সবার জন্য উম্মুক্ত? সিনেমা হল আল্পনার কর্মকর্তা শান্তরাম থোরাট জানালেন, আমাদের দর্শকদের অধিকাংশেরই বয়স ৩৫ থেকে ৪০শের মধ্যে৷ তারা গাড়ি চালিয়ে আসে এবং তাদের পারিবারিক অবস্থাও বেশ ভালো৷

শান্তরাম জানান, আমাদের তরুণ দর্শকের সংখ্যা খুবই কম৷ কারণ তরুণরা ইন্টারনেট থেকেই তাদের প্রয়োজনীয় রোমাঞ্চকর বিষয়গুলো খুঁজে নেয়৷

প্রদর্শিত সিনেমাগুলো প্রসঙ্গে পুনের অপর সিনেমা হল শ্রীকৃষ্ণের কর্মকর্তা উলহাস মাননে জানান, অধিকাংশ পর্নো সিনেমা তেলুগু এবং মালায়ালাম থেকে আসে৷ পরে অবশ্য এগুলোকে হিন্দি ভাষায় ভাষান্তরিত করা হয়৷

উলহাসের দাবি, এটা একটা বৈধ বাণিজ্য৷ কারণ এসব সিনেমাও হলে প্রচারের আগে সেন্সর বোর্ড পার হয়ে আসে৷

প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র রাজ্যে বছরে ৬০ লাখ রুপির পর্নো বাণিজ্য হয়, যার ৫০ শতাংশই পুনে শহরে৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার