‘পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে মিথ্যা বলি' | পাঠক ভাবনা | DW | 22.11.2017
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে মিথ্যা বলি'

‘‘সচেতনভাবে সত্যকে লুকিয়ে ভিন্নভাবে বলাকেই আমি মিথ্যা মনে করি'' ফেসবুক পাতায় এই মন্তব্য একজন পাঠকের৷ ‘মিথ্যা কথা' সংক্রান্ত ডয়চে ভেলের একটি প্রজেক্টের জন্য অনেক পাঠক বেশ মজার মজার মন্তব্য পাঠিয়েছেন ফেসবুক পাতায়৷

‘‘আমি সাধারণত মিথ্যা কথা বলি না বা বলতে চাই না৷ তবে মিথ্যা কথা বলে যখন ভালো কিছু অর্জন করা যায়, তখন একটু বলার চেষ্টা করি৷ যেহেতু ভালো কাজের জন্য মিথ্যা বলি বা বলতে হয়, তাই যতটা খারাপ লাগার কথা ততটা লাগে না৷'' এই মন্তব্য উজ্জ্বল কুমারের৷

প্রদীপ কুন্ডু জানিয়েছেন এভাবে, ‘‘সচেতনভাবে সত্যকে লুকিয়ে ভিন্নভাবে বলা বা উপস্থাপন করাকেই আমি মিথ্যা মনে করি৷ বৃহত্তর স্বার্থে, অন্যকে বিপদ থেকে রক্ষার মতো প্রয়োজনে একান্ত অনিবার্য হলে মিথ্যার আশ্রয় নেব বৈকি৷ ভাবি, এমন পরিস্থিতি যেন আর না আসে৷ যুক্তিসঙ্গত কারণে বললে ততটা কষ্ট পাই না, অন্যথায় অপরাধবোধ ভীষণ কষ্ট দেয়৷''

পাঠক রাতুল বসুর কাছে  বাস্তবকে অস্বীকার করাই  মিথ্যা ৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘আমি সাধারনত দু’টি সময় মিথ্যা বলি, এক, আমার মা-কে মাঝে মাঝে খুশি করতে বাজারের জিনিসের দাম কম বলি৷ আর আমার পরিচিত বা অল্প পরিচিত মানুষের কাছে আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা লুকাতে৷''

‘‘কোনো কথা দেয়ার সময় আমি যদি জানি যে কথাটা আমি রাখবো না বা আমার পক্ষে রাখা সম্ভব না, আমার কাছে  তাহলে সেটাই মিথ্যা'', এই মন্তব্য তানজিনা ফেরদৌসের৷ 

ডয়চে ভেলের পাঠক আতিক কোনো কিছু অস্বীকার করাকে মিথ্যা মনে করেন৷

 

তবে কোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে মোরশেদ আলম সোহাগও মাঝে মাঝে মিথ্যা বলে থাকেন৷ যদিও ইচ্ছাকৃত মিথ্যা বলা তার পছন্দ নয়৷

 ‘‘আমি সাধারণত মিথ্যা বলি না বললেই চলে৷ বলার চেষ্টাও করি না৷ মিথ্যা বলার কোনো পরিস্থিতি হলে আমি সেই কথা এড়িয়ে যাই বা পজিটিভ কোনো কথা বলি৷ তবে নিজের সন্মানের খাতিরে সপ্তাহে দুই-একটা কথা ওয়াইফের কাছে লুকাতে হয়৷ সত্যিই তখন খারাপ লাগে৷ তবে কিছু কিছু বিষয় থাকে যা নিজের ওয়াইফের কাছেও বলা যায় না৷'' মিথ্যা বলা নিয়ে ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় এই মন্তব্য করেছেন পুরনো বন্ধু এমএ বারিক৷ আর ‘‘ সম্পর্কের ক্ষেত্রে সাধারণত মিথ্যা বলি, তখন অনেক হালকা আর ভারমুক্ত লাগে৷ আমি যে কারণে মিথ্যা বলি সে কারণে কেউ মিথ্যা বললে কিছু মনে হয় না৷ অন্য কোনো কারণে মিথ্যা বললে কষ্ট লাগে না, মেজাজ খারাপ হয়৷’’ – এই মন্তব্যটি পাঠক মামুন আবদুল্লাহর৷

যদিও পাঠক জামাল আহমেদ সুবর্ণ কাছে ‘মিথ্যা বলা' নিয়ে সঠিক জবাব দেওয়া নাকি সত্যি ভীষণ কঠিন ব্যাপার৷

মো. রায়হান লিখেছেন, ‘‘আমি মিথ্যা বলি সাধারণত এমন পরিবেশে যখন মনে হয়, সত্য কথা বললে আমার সঙ্গে আর তারা ভালো ব্যবহার করবেন না, তখন৷''

আমাদের আরেকজন নিয়মিত পুরনো বন্ধু সোহেল রানা হৃদয়  লিখেছেন, ‘‘মিথ্যা বলতে আমি বুঝি যেটা সত্য নয় বা কোনো কিছুকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা৷ আমি খুব জটিল সমস্যায় না পড়লে মিথ্যা বলি না৷ মিথ্যা বলাটা বন্ধ করে দিলে নিজেকে ফ্রেশ মনে হয়৷''

মুর্শিদাবাদ থেকে নিজামউদ্দিন শেখ লিখেছেন, ‘‘যখন কোনো মিথ্যা মানুষের কল্যাণ করে, তখনই আমি মিথ্যা বলে থাকি, নচেৎ নহে৷  কারও কল্যাণের জন্য যখন মিথ্যা বলতে হয়, তখন অনুতপ্ত হই না, বরং মনে হয় মিথ্যা বলে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি, অন্যায়কে করতে পেরেছি প্রতিহত৷''

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা : আশীষ চক্রবর্ত্তী

নির্বাচিত প্রতিবেদন