1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরমাণু বিভ্রাটের সংকট আরও গভীর হচ্ছে জাপানে

১৩ মার্চ ২০১১

সুনামি এবং ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতিতে জাপানের সামনে এখন সমস্যার পাহাড়৷ সবচেয়ে বড় সমস্যা পারমাণবিক কেন্দ্রগুলিকে নিয়ে৷ উদ্বেগ সংক্রমিত হয়েছে জার্মানিতেও৷

https://p.dw.com/p/10YIe
জ্বলছে উত্তর জাপানে সেন্ডাই-এর শিল্পকেন্দ্রছবি: AP

বিস্ফোরণের পর ফুকুশিমা দাইচি-র পরিস্থিতি সংকটাপন্ন

উত্তর জাপানের ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে শনিবারের বিস্ফোরণের পর সেই এলাকা থেকে এক লক্ষ সত্তর হাজার মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ জাপানের পরমাণু কর্তৃপক্ষের তরফে সংস্থার আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রধান তোশিহিরো বানানি শনিবার রাতে টোকিও থেকে সাংবাদিকদের জানান, বিস্ফোরণের পর ফুকুশিমায় অনিয়ন্ত্রিত পারমাণবিক প্রক্রিয়া বা পরিভাষায় ‘মেল্টডাউন' হতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা৷ যদিও তা যে হয়েইছে, তাও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না এই মুহূর্তে৷ তবে, তাঁদের এঞ্জিনিয়াররা ওই পারমাণবিক কেন্দ্রে খুব কাছাকাছি পৌঁছতে পারেন নি৷ যদিও বাতাসে ভেসে থাকা তেজষ্ক্রিয় পদার্থের একটা পরিমাপ নেওয়া গেছে৷ সেই পরিমাপে দেখা গেছে সামান্য মাত্রায় তেজষ্ক্রিয় সেজিয়াম আর আয়োডিনের অস্তিত্ব মিলেছে বাতাসে৷ সে কারণেই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে এবং এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানো হয়েছে৷ রবিবার জাপানের স্থানীয় সময় সকালবেলায় ওই পারমাণবিক কেন্দ্রের আরেকটি রিঅ্যাক্টরের শীতল করার প্রণালী ভেঙে পড়ার দুঃসংবাদ শোনায় সেটির পরিচালক সংস্থা টেপকো৷ ফলে এই পারমাণবিক কেন্দ্রগুলির ওপর সুনামি আর ভূমিকম্পের প্রভাব নিয়ে আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে জাপানকে৷ সেইসঙ্গে বহির্বিশ্বকেও৷

Flash-Galerie Deutschland Energiereise Angela Merkel in AKW Lingen
জাপানের পারমাণবিক সংকটের পরিস্থিতি হতে পারে অন্যত্রও, বললেন জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেল৷ছবি: AP

উদ্বিগ্ন জার্মানিও, বললেন ম্যার্কেল

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল জাপানের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, জাপানের মতো উচ্চ নিরাপত্তার মান সম্পন্ন একটি দেশে যদি ভূমিকম্প এবং সুনামির ফলশ্রুতি রোধ করা সম্ভব না হয়, তাহলে সারা বিশ্ব, ইউরোপ, এমনকি জার্মানির মতো একটি অনুরূপ উচ্চ নিরাপত্তার মান সম্পন্ন দেশের পক্ষেও গতানুগতিকভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়৷ প্রসঙ্গত, জার্মান আণবিক রিঅ্যাক্টরগুলির নিরাপত্তা পরীক্ষা করে দেখা হবে, বলে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ঘোষণা করেছেন৷

Flash Galerie Fukushima 2011
ফুকুশিমায় ত্রাণ সংগ্রহের ব্যস্ততাছবি: AP

জাপানের নিহতের সংখ্যা নিয়ে নানারকম মতামত

উত্তর জাপানের এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে নিহতের মোট সংখ্যা নিয়ে কোন সুনিশ্চিত খবর এ পর্যন্ত জানায়নি টোকিও৷ প্রাথমিকভাবে শনিবার তাদের দাবি ছিল, নিহত মাত্র চারশো৷ কিন্তু ক্রমশই বোঝা যেতে থাকে নিহতের মোট সংখ্যা তার অনেক বেশি৷ সেই সংখ্যা এই মুহূর্তে ১,৮০০-র বেশি বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে৷ এদিকে প্রায় দশ হাজার বাসিন্দা সহ একটি গ্রাম সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে বলে জানা গেছে উপগ্রহ থেকে তোলা ছবি থেকে৷ যদিও এ খবর এখনও নিশ্চিত করেনি টোকিও কর্তৃপক্ষ৷

ত্রাণ পরিস্থিতি এবং সহায়তা

ত্রাণ এবং উদ্ধারের কাজে লাখখানেক সেনাকে নামিয়েছে জাপান৷ হেলিকপ্টার আর জাহাজে চড়ে উত্তর জাপান জুড়ে উদ্ধারে নেমেছে তারা৷ জাতিসংঘের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক বিপর্যয় মোকাবিলার ত্রাণ সহায়ক দল হাজির হয়েছে জাপানে৷ উত্তরাঞ্চলের পাঁচটি জেলায় মোট ১,৩৫০টি আপৎকালীন আশ্রয়ে আশ্রয় নিয়েছে ২,১৫,০০০ মানুষ৷ ভয়ংকর সুনামি আর ভূমিকম্প তাদের ঘরবাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে গেছে এক লহমায়৷

প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য